দৈনিক রূপসী বাংলার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল ওহাবের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিউজ ডেস্ক: দৈনিক রূপসী বাংলার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল ওহাবের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৩ সনের এ দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।
অধ্যাপক আবদুল ওহাব বহুগুণে গুণান্বিত ছিলেন, সমাজের সর্বস্তরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি আজও বিরাজমান। সাংবাদিকতা জীবনে তিনি প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সম্পাদকীয় লিখেছেন। যার মধ্যে ছিল সমাজকে আলোকিত করার বার্তা। দেশ-বিদেশের এমন কোন প্রসঙ্গ নেই যা অধ্যাপক আবদুল ওহাব তাঁর লেখনিতে তুলে ধরেননি। শিক্ষা, সাহিত্য, সমাজ, রাজনীতি, সাংস্কৃতিক, আন্তর্জাতিক, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়াদি নিয়ে নিজস্ব জ্ঞান দীপ্ত লেখা দিয়ে সমাজ সচেতনতায় অতুলনীয় অবদান রেখে গেছেন। তাঁর প্রতিটি লেখা হয়েছে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাদৃত। শিক্ষা, সাংবাদিকতা, সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় ছিল অধ্যাপক আবদুল ওহাবের বিচরণ। নাটক রচনা, অভিনয় ও কবিতা আবৃত্তিতেও তাঁর ছিল অসামান্য দক্ষতা। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গল্পকার, সাহিত্যিক, গবেষক এবং জনপ্রিয় শিক্ষাবিদ ও সর্বজন গুণী ব্যক্তিত্ব। সমাজের সর্বস্তরে তিনি অবদান রেখে গেছেন। মৃত্যুর ২১ বছর পরও এমন মহান ব্যক্তিত্বের গুণের কথা এখনো ভুলতে পারেনি কুমিল্লাবাসী। ক্ষণজন্মা এ মহাপুরুষ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর স্মৃতিময় দৈনিক রূপসী বাংলা নিয়মিত প্রকাশনার মধ্যদিয়ে তাঁর লালিত স্বপ্ন দেশ ও সমাজের কল্যাণে নিবিড়ভাবে অবদান রেখে চলেছে। অধ্যাপক আবদুল ওহাব স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন চিরকাল তাঁর অনন্য কীর্তির জন্য।
আজ ৪ আগস্ট ২২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বহু গুণে গুণান্বিত মহান ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আবদুল ওহাবকে। অধ্যাপক আবদুল ওহাব তাঁর ৩৮ বছরের শিক্ষকতা জীবনের পাশাপাশি ৩৩ বছর সফল সাংবাদিকতা, সৃষ্টিশীল মননশীলতার এক মহান আদর্শের সৈনিক হিসাবে তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে ছিলেন, থাকবেন প্রজন্ম থেকে প্রজান্মন্তরে। ‘কীর্তি মানের মৃত্যু নেই’। অধ্যাপক আবদুল ওহাবেরও মৃত্যু নেই। তিনি বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্মের মাধ্যমে।










