 
		
								শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, চাই দুই রাষ্ট্র সমাধান: জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক সংকট ও ইসরায়েলের লাগাতার আক্রমণের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস স্পষ্ট করে বলেছেন, শুধু যুদ্ধবিরতি নয়—গঠনমূলক রাজনৈতিক সমাধান, বিশেষ করে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান ছাড়া টেকসই শান্তি সম্ভব নয়। তিনি একে মানবাধিকারের প্রশ্ন হিসেবে তুলে ধরেন এবং ৫ মিলিয়ন অধিকারবঞ্চিত মানুষের বাস্তবতাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে’ আখ্যা দেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) এক ভাষণে গুতেরেস বলেন, “যুদ্ধবিরতির পর একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানো জরুরি। আর সেই সমাধান কেবল তখনই সম্ভব, যদি ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা উভয়েই তাদের নিজ নিজ রাষ্ট্রে বসবাস ও অধিকার চর্চা করতে পারে।” তিনি আরও জানান, জুলাই মাসে জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে—যার মূল লক্ষ্য হবে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে আলোচনার পথ প্রশস্ত করা।
গুতেরেস তার বক্তব্যে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “গাজায় এমন মৃত্যু ও ধ্বংস চলছে, যার সাম্প্রতিক সময়ে কোনো তুলনা নেই। সেখানে মানুষের মর্যাদার ন্যূনতম শর্তও লঙ্ঘিত হচ্ছে।” তিনি উল্লেখ করেন, “নিজেদের ভূমিতে বসবাসকারী ৫০ লাখ মানুষ যদি কোনো রাষ্ট্রীয় অধিকার না পায়, তাহলে সেটি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার শামিল।”
তিনি বলেন, “গাজায় আমাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। কিন্তু সেটি কেবল তখনই কার্যকর হবে, যখন একটি বাস্তবিক ও রাজনৈতিক সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়া যাবে।” তিনি এসময় দুই রাষ্ট্র সমাধানের ধারণাকে জোরালোভাবে তুলে ধরেন এবং জানান, এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও নিষ্ঠা জরুরি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৫৮,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। টানা বোমাবর্ষণ এবং অবরোধে গাজার অবকাঠামো প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। খাদ্য সংকট, পানির অভাব এবং মহামারীর মতো রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কোনো আহ্বান গ্রহণ করেনি। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি











