49295

হৃদয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে কুমিল্লার বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলের দশম আসরে সবচেয়ে কম রানের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। মাত্র ৭২ রানেই অলআউট হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাজটা সহজ করে দিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এরপরও অবশ্য শুরুটা সহজ ছিল না বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লার। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ অধিনায়ক লিটন দাস, তার সঙ্গে ছিল দ্রুত দুই উইকেটের পতন। এরপর তাওহীদ হৃদয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ৬৪ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আসরের সর্বনিম্ন রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল চট্টগ্রাম। যা বিপিএলেও তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। চলতি আসরজুড়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করলেও, এদিন ব্যর্থ ছিলেন চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। অবশ্য এতে অবদান রয়েছে বাঁ-হাতে ঘূর্ণি দেখানো স্পিনার তানভীর ইসলামের। মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচসেরাও হয়েছেন।

ads

রানতাড়ায় শুরুটা সাবধানী ছিল কুমিল্লার। প্রথম ৩ ওভারে তারা ১২ রান তোলে। এরপরই ফেরেন অধিনায়ক লিটন। টানা রানখরার বৃত্তে আটকে থাকা এই ওপেনার আজও মাত্র ২ রানে (৯ বল) আউট। মিডিয়াম পেসার বিলাল খানের বলে তিনি তানজিদ তামিমকে ক্যাচ দিয়েছেন। তিনে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও ফেরেন মাত্র ৫ রানে। ফলে ছোট পুঁজির সামনেও কুমিল্লা কিছুটা চাপ অনুভব করতে থাকে। সেই চাপ সামাল দিয়েছেন হৃদয়।

আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানও রানের জন্য চলতি বিপিএলে সংগ্রাম করছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও, ২৪ বলে করেছেন মাত্র ১৬ রান। হৃদয় আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৩১ রান করেন। যার বদৌলতে ৯.২ ওভারেই কুমিল্লা আসরের তৃতীয় জয় নিশ্চিত করে। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলেছে তারা। চট্টগ্রামের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আল আমিন, জিয়াউর রহমান ও বিলাল খান।

ads

এর আগে প্রথম ইনিংসে তিনে নামা টম ব্রুসই কেবল চট্টগ্রামের হয়ে কিছুটা লড়াই চালিয়েছেন। ২০ বলে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান ৪টি চারের মারে ২৭ রান করেন। এরপর বলার মতো রান পাননি কেউই। ব্রুসের পর কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তাও ১৬ বল খেলে তিনি করেন ১১ রান। চট্টগ্রামের আত্মঘাতী ব্যাটিংয়ের দিনে পাঁচজনই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। যার কারণে ৩.৩ ওভার হাতে রেখেই তারা গড়ে লজ্জার স্কোর– ৭২।

কুমিল্লার হয়ে তানভীর ছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন আলিস আল ইসলাম। এছাড়া রেমন রেইফার, মুস্তাফিজুর রহমান ও আমের জামাল একটি করে শিকার করেন।

ad

পাঠকের মতামত