48956

শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে এমপি শফি উদ্দিন শামীম

বরুড়া প্রতিনিধি: কুমিল্লা -৮ (বরুড়া) আসনের নব নির্বাচিত এমপি আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন শামীম নিজের প্রতিষ্ঠান এস কিউ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে দরিদ্র-অসহায় ও শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সাত সহস্রাধিক কম্বল বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার বরুড়া খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের খোসবাস স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

ads

এ সময় খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৫০টি করে মোট ৪৫০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। একইদিন বিকেলে তিনি উপজেলার লক্ষীপুর, পয়ালগাছা ও শাকপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০টি করে আরও ১ হাজার ৩৫০ জন অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।

এমপি নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণের পর এটি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় প্রথম সফর। দেশের চলমান শৈত্য প্রবাহের কারণে এলাকার অনেক দরিদ্র ও অসহায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে বিধায় নিজ উদ্যোগে এসকিউ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে তিনি উপজেলার মোট ১৪৪ টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে প্রথম দফায় ৫০টি করে মোট ৭ হাজার ২০০টি কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।

ads

কম্বল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তব্যে তাঁকে এমপি নির্বাচিত করার জন্য বরুড়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, সমাজ সেবা ও মানুষের পাশে দাড়ানো আমার মানবিক দ্বায়িত্ব। এতদিন আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্যোগে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করেছি, সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে আপনারা আমাকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে আপনাদের সেবক বানিয়েছেন। আমি জানিনা এই গুরু দায়িত্ব কতটা পালন করতে পারবো, তবে দায়িত্ব পালনে আমার নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার কোন কমতি থাকবেনা। আমি কথা দিয়েছিলাম সকল নেতা কর্মীদেরকে সুসংগঠিত করে দলের ঐক্য সমন্বিত করে আমরা সম্প্রিতির দৃস্টান্ত স্থাপন করব, বিপুল ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা তা প্রমাণ করেছি।

এমপি শামীম বলেন, আমাদের এবারের কাজ হবে অনিয়ম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য ও মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো। আমি এ ব্যাপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও অংশ গ্রহণ প্রত্যাশা করছি। আমাদের অগ্রাধিকারে থাকবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের একটি অন্যতম মডেল উপজেলা হিসেবে বরুড়াকে গড়ে তোলা। আমরা আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মমূখী শিক্ষার উপর জোর দিব, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করবো। এলাকায় ব্যাবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্তি বাড়াবো। অবকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তা- ঘাট, পুল-কালভার্ট, স্কুল -কলেজ ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ গুলোও ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকবে।

আমি আপনাদের সবাই কে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি সরকারের এই বহুমাত্রিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন। ইনশাআল্লাহ সকল অপচেষ্টা রুখে দিয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণ-বঞ্চনা ও দূর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম উপজেলা হিসেবে বরুড়াকে গড়ে তুলবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বরুড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নু-এমং মারমা মং, বরুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ বাহাদুরুজ্জামান, এসকিউ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন, বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, খোসবাস উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সর্দার, সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম পাটোয়ারী, লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি এম এ হাসেম, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, পয়ালগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহিন উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা শান্তি রঞ্জন দাস, শাকপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম মেম্বার এবং আনোয়ার হোসেন মেম্বার, আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম মিঠু, ঝলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, বরুড়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রুহুল কুদ্দুছ সুমন, বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান বাবুল ও বরুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, শফিউদ্দিন শামীম ও তাঁর পরিবার ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এলাকার কাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব হ্রাস, আবাসন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিপূর্বে তিনি আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলার ৬৫০টি পরিবারের মাঝে অটো রিকশা, সেলাই মেশিন ও নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। ভূমিহীন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি বরুড়ায় গড়ে তুলেছেন এক অনন্য আবাসন যেখানে রয়েছে আধুনিক সকল নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন দোতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ৬৫টি একতলা বাড়ি।

ad

পাঠকের মতামত