গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ক নিয়োগ করল জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে, তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার জাতিসংঘ গাজায় মানবিক ত্রাণ সামগ্রী চালানের তদরকির জন্য একজন সমন্বয়ক নিযুক্তির ঘোষণা দিয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের সিগরিড কাগকে গাজায় মানবিক ও পূনর্নির্মাণ বিষয়ক ঊর্ধ্বতন সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিনি ৮ জানুয়ারি থেকে তার দায়িত্ব পালন করবেন। খবর রয়টার্সের
জাতিসংঘ বলেছে, ‘তার এই ভূমিকায় তিনি গাজার জন্য মানবিক ত্রাণের চালানের সুবিধা প্রদান, সমন্বয় সাধন , নজরদারি এবং এর যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। যেসব দেশ এই সংঘাতে জড়িত নয় তিনি তাদের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পাঠানো তরান্বিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার ১১ সপ্তাহব্যাপী এই যুদ্ধে গাজায় ক্রমবর্ধমান নিহতদের সংখ্যা এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবিক সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অস্ত্র বিরতির বিরোধীতা করছে। তাদের দাবি- যুদ্ধবিরতি হলে কেবল হামাসেরই সুবিধা হবে। তার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা ও হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করানোর জন্য লড়াইয়ে সাময়িক বিরতিকে সমর্থন করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২০ হাজার ৯১৫ জন নিহত এবং ৫৪ হাজার ৯১৮ জন আহত হয়েছেন।
বিবিতৃতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪১ জন নিহত এবং ৩৮২ জন আহত হয়েছে।
এদিকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী গত রাতে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৫৫ জনকে আটক করেছে। বন্দি ও প্রাক্তন বন্দি বিষয়ক কমিশন এবং ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বন্দি অধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, নাবলুস, তুবাস এবং তুলকারেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযানগুলো চালিয়েছে ইসরায়েল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮৫ জন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান হারজি হালেভি বলেছেন যে, তিনি গাজায় পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছেন এবং যুদ্ধ আরও অনেক মাস চলবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কথাই তুলে ধরেছেন সেখানকার সেনাপ্রধান। নেতানিয়াহুও বলেছেন যে, হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।
তবে গাজার বাস্তবতা হলো যে, গত ৮১ দিনে যেসব উদ্দেশ্য নিয়ে গাজায় অভিযান শুরু করেছিল ইসরায়েল। সেগুলোর কোনোটিই অর্জন করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় স্থল অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৬২ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।