43951

মুরাদনগরে ৩৭টি কোরবানির হাটে প্রস্তুত ২০ হাজার পশু

নিউজ ডেস্ক: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদে ৩১৭টি গ্রামে ৬ লাখ লোকের ২০ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। অধিক মুনাফার আশায় পশুর যত্ন নিচ্ছেন খামারিরা ও গৃহস্থরা। জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ৩১৭টি গ্রামে প্রায় ২০ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের উপজেলায় বিক্রি করা যেতে পারে বলে জানা গেছে। মুরাদনগরে এ বছর পশুর সংখ্যা ১৫ হাজার ৫শ’ ৭৮টি। মোট রয়েছে ১৫ হাজার ৮শ’ ১২টি। উদ্বৃত্ত আছে ২ হাজার ৩৪টি। গত বছর কোরবানি চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৫শ’ ২৬টি। বিভিন্ন গ্রামের গৃহস্থ ও ছোট-বড় খামারে ষাঁড়-৭ হাজার ৯শ’ ৯৪টি, বলদ ১ হাজার ৫শ’ ৫৬টি, গাভী ২ হাজার ৩শ’ ৯২টি, মহিষ ৪১টি, ছাগল ৩ হাজার ১শ’ ৫৫টি ও বেড়া ৬শ’ ৭৪টি ছাড়া বিভিন্ন বাড়ি ২/৩টি করে ষাঁড়, বলদ, গাভী, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালন করছেন মালিকরা।

মুরাদনগর উপজেলা পিপিড়িয়াকান্দা গ্রামের শাহিন ও হেলালের খামারে ষাঁড় ৩০টি, পীরকাশিমপুর গ্রামের শেখ ফরিদ ও বোরহানি মিয়ার খামারে ষাঁড় ১৯টি, গাজীপুর গ্রামের রাফসান ও ফরিদ মিয়ার খামারে ষাঁড় ২০টি, রাজাচাপিতলা গ্রামের আব্দুল মাঈন ও হাজী আবুল হাসেম খামারে ষাঁড় ৪০টি, বাখলনগর গ্রামের বাবুল সরকার ও জোহার সরকার খামারে ষাঁড় ১৮টি, নবীয়াবাদ গ্রামের মিজানুর রহমান ও ওয়াহিদ মিয়ার খামারে ষাঁড় ২৩টি, কুড়াখাল গ্রামে নেছার সাবেক মেম্বারের ৭টি, যাত্রাপুর গ্রামে পশ্চিমপাড়ায় ৫টি গরুসহ আরও অনেক গরু লালন-পালন করছেন খামারিরা।

ads

মুরাদনগর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানায়, মুরাদনগরে এ বছর পশুর প্রয়োজন ১৫ হাজার ৫শ’ ৭৮টি, মোট ছোট বড় খামারে প্রস্তুত রয়েছে ১৫ হাজার ৮শ’ ১২টি। উদ্বৃত্ত আছে ২ হাজার ৩৪টি।

গত বছর কোরবানি চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৫শ’ ২৬টি। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দীন ভূঁইয়া জনী বলেন, ২০২২ সালে কোরবানিতে মুরাদনগরের ২২টি ইউনিয়নে ৩৭টি কোবানির পশুর হাটবাজার বসেছিল। এ বছর পশুর হাট বাড়তে পারে। বিভিন্ন হাটে যেসব পশু বাজারজাত করা হবে, সেসব পশু সবল কিংবা রোগাক্রান্ত কিনা তা নিণয়ের জন্য প্রতিটি পশুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে।

ads
ad

পাঠকের মতামত