43566

কাতারের প্রধানমন্ত্রী-তালেবান প্রধানের গোপন বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি মাসে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল-থানি। তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেই তাদের দুজনের মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। দুপক্ষের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকরা বাইরের বিশ্বের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ads

চলতি মাসের ১২ তারিখে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার শহরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল-থানি এবং তালেবানের প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাকি বিশ্বের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন এই দুই নেতা। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানকে যুক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তালেবান প্রধান আখুনজাদা।

গোপন একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকের বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সেখানে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা তুলে ধরা হয়। বৈঠকে তালেবানের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

ads

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই সূত্রটি জানায়, নারী শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ তালেবান যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে সেসব বিষয় তুলে ধরেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠককে কাতারের জন্য একটি কূটনৈতিক সফলতা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এর আগে নারীদের ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছিল কাতার।

শিক্ষা গ্রহণ ও চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বার বার শর্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের এজেন্সি ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোতেও নারীদের কাজ করতে দিতে হবে বলে শর্ত দেয় ওয়াশিংটন। এছাড়া আফগান সরকারে তালেবান সদস্যরা ছাড়াও অন্যদের স্থান দিতে হবে বলে জানিয়েছিল দেশটি। কিন্তু এসব শর্ত মেনে নেয়নি তালেবান।

এদিকে ওই বৈঠকের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি হোয়াইট হাউজ। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ওয়াশিংটনে অবস্থিত কাতারের দূতাবাসও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তারপর থেকেই নারীদের শিক্ষা, চাকরি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এখনো পর্যন্ত কোনও দেশ তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আফগানিস্তানে সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত