43229

এক যুগ পর দ. কোরিয়ায় জাপানি প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি ও চীনের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার বিস্তার নিয়ে শঙ্কার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী জাপান। রবিবার (৭ মে) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সিউল সফরে যান জাপানের প্রধানমন্ত্রী। সফরে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইওলের সঙ্গে আলোচনা করেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এ মধ্য দিয়ে সিউল ও টোকিও’র ‘শাটল কূটনীতি’ পুনরায় শুরু হতে চলেছে। সফরের আগে সাংবাদিকদের কিশিদা জানান, সিউলের সঙ্গে বিশ্বস্ততার সম্পর্ক স্থাপনে ইয়ুনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন তিনি। তবে আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি কিশিদা।

ads

কোরীয় উপদ্বীপে ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক দখলদারিত্বের সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর যৌন দাসত্ব ও জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করাসহ নানা ধরনের নৃশংসতা চালায় জাপান। এ ঘটনার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে সিউল। ঐতিহাসিক এ দ্বন্দ্ব নিরসন করে সম্পর্ক জোরদার করতে চলতি বছরের মার্চে টোকিও সফরে গিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিউলে ঐতিহাসিক এ সফরে যান ফুমিও কিশিদা।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় সিউলের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ আছে আমাদের।’

ads

জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টায় বাড়াবাড়ি করছেন বলে নিজ দেশে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ইয়ুনকে। তবে এবার জাপানের দিক থেকেও রাজনৈতিক সহযোগিতাসহ ইতিহাসের এসব ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করা হবে বলে আশা করছে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ। তবে ইতিহাসকে টেনে আনা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না বলে জানিয়েছেন ইয়ুন।

এদিকে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের দাবি করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কে উপনীত হয়েছে চীন। বেইজিংকে দমাতে এশিয়ার অন্য শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: রয়টার্স, বাসস

ad

পাঠকের মতামত