37715

অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বিষয়ে মতবিনিময় কর্মশালা

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সিমস প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ)র উদ্যোগে

আন্তর্জাতিক সংস্থা হেলভেটাস বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায় ও সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বিষয়ে সম্প্রতি একটি গবেষনা সম্পন্ন
করে। গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর, উক্ত গবেষনা প্রতিবেদন সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে কুমিল্লা জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিস এ একটি মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ads

‘বিএনডব্লিউএলএ’ এর সহ-সভাপতি, এ্যাডভোকেট সীমা জহুর এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এফ এম শেফায়েত ছালাম, জেলা লিগাল এইড কর্মকর্তা এবং সহকারী জজ, কুমিল্লা এবং দেবব্রত ঘোষ, সহকারী পরিচালক, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিস, কুমিল্লা।

‘বিএনডব্লিউএলএ’ এর সদস্য ও প্রকল্পের প্রতিনিধি, এ্যাডভোকেট ফেরদৌস নিগার এর স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সিমস; প্রকল্পে ‘বিএনডব্লিউএলএ’ এর ব্যবস্থাপক রাফাতুর রহমান রুবা সিমস প্রকল্পের আওতায় অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বিষয়ে গবেষনায় প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করেন। তিনি তার উপস্থাপনায় অভিবাসী কর্মীদের বিদেশে ও দেশে বিভিন্ন সমস্যা এবং প্রতিকার প্রাপ্তিতে জটিলতা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিএমইটি এর অধীনে সালিস সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা কোন সেল নেই। এর ফলে ভুক্তভোগী অভিবাসী কর্মীদের ন্যায্য অধিকার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়।

ads

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অদ্যকার অনুষ্ঠানের উদ্যেশ্যের সাথে একমত পোষন করে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের নিকট তথ্য পৌছে দিতে হবে যাতে সবাই সচেতন হয়। তিনি বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে অভিবাসন বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারে মতামত প্রদান করেন।

এফ এম শেফায়েত ছালাম অভিবাসী কর্মীদের কাঙ্খিত প্রতিকার দ্রুত পাওয়ার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে শালিসের প্রতি গুরুত্ব প্রদানসহ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকেও এতে সংযুক্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

দেবব্রত ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচলে অবদান রাখার জন্য অভিবাসী কর্মীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর লোক কাজের জন্য বিদেশ যাচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই প্রবাসে বিপদে পড়ছেন, কেউ কেউ দেশে ফিরে আসছেন এবং কাঙ্খিত প্রতিকার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন। এর ফলে প্রতিবছরই বিএমইটিতে অনেক অভিযোগ পরছে কিন্তু সেখানে আলাদা কোন সেল না থাকায় এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিবাসী কর্মীদের প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে বা প্রতিকার প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা প্রমানাদী সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানটিতে বিদেশ ফেরত কয়েকজন অভিবাসী কর্মী তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে বলেন “বিএমইটি এর অধীনে সালিসের জন্য আলাদা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সেল থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাঙ্খিত সেবা পাওয়া সম্ভব হতো”।

কুমিল্লা জেলায় কর্মরত বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, আইনজীবী, পুলিশ প্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মী উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং অভিবাসী কর্মীদের অধিকার ও প্রতিকার বিষয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।

ad

পাঠকের মতামত