36854

কাতার: চীন-যুক্তরাষ্ট্র কাউকেই অগ্রাধিকার দেবো না

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল-থানি বলেছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই দোহার ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাই কাউকে ছেড়ে কাউকে তারা অগ্রাধিকার দেবেন না। বরং তাদের প্রত্যাশা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। খবর মিডলইস্ট মনিটর।

নিউজ আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দোহা এমন কোনো অবস্থানে থাকতে চায় না, যেখানে একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে বেছে নিতে হবে। দোহাকে যদি এ ধরনের কোনো পরিস্থিতিতে বাধ্য করা হয়, তাহলে একজনের ওপর অন্যজনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। কারণ একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাতারের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, অন্যদিকে চীনের সাথে রয়েছে বেশ শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক। একই সাথে বেইজিং দোহার একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মিত্রও।

ads

বেশিরভাগ দেশ বিশ্বে মেরুকরণ দেখতে চায় না, শক্তির প্রতিযোগিতাও দেখতে চায় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই প্রতিযোগিতা আমাদের সকলের জন্য বিশ্বকে আরও কঠিন করে তুলবে। তাই শান্তি ও স্থিতিশীলতায় উভয় দেশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দেশগুলোকে সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং উত্তেজনা এড়াতে শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্য সমাধানে সহায়তা করার পরামর্শ দেন।

ads

বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার সম্পর্কে আল-থানি বলেন, কাতার জ্বালানি বাজারকে স্থিতিশীল করতে চায় এবং এটি সবার স্বার্থের জন্যই। দোহা এই ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার আশা করে জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কাতার অনেক দেশের দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সরবরাহকারী। এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশের সাথে দোহার অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং দোহা সেগুলো অব্যাহত রাখতে চায়।

আল-থানি বলেন, করোনা মহামারির পরে জ্বালানি বাজারে পরিবর্তন এবং বাজারের অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও আমরা কারো কোনো চালান বিলম্বিত করিনি। জ্বালানি সরবরাহে আমরা কাউকে কারো চেয়ে প্রাধান্য বা অগ্রাধিকার দিইনি। আমরা শুধু আমাদের চুক্তিতে অটল ছিলাম। মোদ্দাকথা আমরা আমাদের সব বন্ধুকে সমানভাবে সাহায্য করতে চাই।

ad

পাঠকের মতামত