34105

বুড়িচংয়ে স্বামীর সাথে অভিমান করে স্ত্রীর গলায় উড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা 

বুড়িচং প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালা কচুয়ায় স্বামীর সাথে তুচ্ছ ঘটনায়  অভিমান করে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় উড়না পেছিয়ে ঝুলে  আত্মা হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে আত্মা হত্যা করে। বাড়ির লোকজন সন্দেহ বসত সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত থেকে নামিয়ে স্থানীয় কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন এর কালা কচুয়া গ্রামের সুমন সাহার ছেলে লোক নাথ সাহার সাথে  বিগত ৬ মাস পূর্বে জেলার মেঘনা উপজেলার নুরী কান্দি সাহা পাড়ার নেপাল চন্দ্র সাহার মেয়ে বিথী রানী সাহার ( ১৮) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার সুখে কাটছিল সুখের কোন কমতি ছিলনা। তাদের মধ্যে ভালো বাসা ছিল অবিরাম। এ ভাল বাসায় হঠাৎ করে কাল নাগিনীর বিষের ছোবলে তচ্ছ নচছ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সকালে বিথী রানী সাহার স্বামী তার কর্মস্থলে ক্যানন্টনমেন্ট চলে যায় তাড়া করে। সে সময় নাস্তার সময় পায়। স্ত্রী তাকে ফোন দিয়ে জানতে চায় কেন সে নাস্তা না করে গেল নাকি স্ত্রীর উপর রাগ করে চলে গেছে। স্বামী লোক নাথ সাহা ফিরে না আসায় স্ত্রী ভীষণ অভিমান করে বলে তুমি আসবা তখন আর আমাকে পাব না। এর সকাল সাড়ে ৮টায়  বিথী রানী সাহা বসত ঘরে ঢুকে দরজা জানালা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলার উড়না পেছিয়ে ঝুলে আত্মা হত্যা করে। বাড়ির লোকজনদের দরজা জানালা বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত থেকে নামিয়ে দ্রুত  কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোঃ রুহুল আমিন সঙ্গীয় ফোর্স সহ লাশ উদ্ধার করে  লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এস আই মোঃ রুহুল আমিন জানান ৬ মাস বিয়ে হয়েছে বিথী রানী সাহা ৩ মাসের গর্ভবতী ছিল। স্বামী সকালে নাস্তা না করে কর্মস্থলে চলে যাওয়ায় অভিমান করে আত্মা হত্যার ঘটনা ঘটে বলে স্বামী লোক নাথের বরাত দিয়ে তিনি জানান। এঘটনায় বুড়িচং থানারয় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ad

পাঠকের মতামত