ইসরায়েলি হামলা থেকে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার আহ্বান কাতারের
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি সহিংসতা থেকে ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের পবিত্র স্থানগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কাতার। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ আহ্বান জানান। কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কিউএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি শেখা আলিয়া বিনতে আহমেদ আল থানি ‘ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা এবং তাদের অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদকে তার দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
কাতার সরকারের ওই বিবৃতির বরাত দিয়ে তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘নিরস্ত্র মুসল্লিদের ওপর (আল আকসা মসজিদে) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা, তাদের গ্রেপ্তার এবং তাদের ধর্মীয় বিধান পালনে বাধা দেওয়ায়’ কাতারের পক্ষ থেকে পুনরায় নিন্দা জানান দেশটির ওই প্রতিনিধি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ইসলামিক ও খ্রিস্টান ধর্মীয় পবিত্র স্থানগুলোর বিদ্যমান ঐতিহাসিক ও আইনগত মর্যাদাকে নস্যাৎ করে তাদের ইহুদীকরণ করার প্রচেষ্টা, পবিত্র আল আকসা মসজিদকে সাময়িক ও এলাকার ভিত্তিতে বিভক্ত করা এবং সেখানকার মুসলমানদের প্রার্থনার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যাত ও বাতিল। কারণ তাদের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনের পরিপন্থী।’
কাতারের ওই নারী প্রতিনিধি ফিলিস্তিনিদের দৃঢ়তার প্রতি তার দেশের সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দোহা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নতি করতে, ‘যেটি এখনও অন্যায়ভাবে অবরোধ করে রাখা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চলতি এপ্রিলের শুরু থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বারবার ইসরায়েলি গ্রেপ্তার অভিযান এবং পূর্ব জেরুজালেমের আলোচিত আল আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রতিদিন বসতি স্থাপনকারীদের অনুপ্রবেশের ঘটনায় ফিলিস্তিনি অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আল আকসা মসজিদ বিশ্বের মুসলিমদের জন্য তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এই এলাকাটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে অভিহিত করে থাকে। তাদের দাবি, এখানে প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দির ছিল।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম, যেখানে আল আকসা অবস্থিত, দখল করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে তারা আশপাশের আরো এলাকা দখল করে এর অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আজ পর্যন্ত তাদের এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি।