33375

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্যাক্সলোভিড ব্যবহারের সুপারিশ ডব্লিউএইচওর

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত যেসব রোগীরা হাসপাতালে ভর্তির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট ব্যবহারের জোর সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে এই সুপারিশ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

ads

বিএমজে চিকিৎসা সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেসব মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা নেননি, যারা বয়স্ক বা যাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের চিকিৎসায় প্যাক্সলোভিড খুব ভালো ফল দেয়।

তবে, গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধটি কতটা কাজ দেবে, তা নিয়ে কোনো মতামত দিতে রাজি হননি ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা।

ads

এছাড়া, এ ধরনের অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসার সীমাবদ্ধতা আছে বলে উল্লেখ করেছে ডব্লিউএইচও। তারা বলছে, রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই শুধু এই ওষুধ দেওয়া যাবে। তার মানে হলো, রোগীদের অবশ্যই দ্রুত কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরপরই রোগীকে এই ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেবেন চিকিৎসক।

ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ঠেকাতে যেসব বিকল্প ট্যাবলেট আছে, সেগুলোর মধ্যে ফাইজারের মুখে খাওয়ার ওষুধটি বেশি কার্যকর।

প্রায় ৩ হাজার ১০০ রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করে পরিচালিত দুটি ট্রায়ালের ফলাফলের ভিত্তিতে প্যাক্সলোভিড নিয়ে নতুন এই সুপারিশটি করেছে ডব্লিউএইচও।

ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে প্যাক্সলোভিড।

ডব্লিউএইচওর সুপারিশ অনুযায়ী, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের প্যাক্সলোভিড ওষুধটি দেওয়া যাবে। তবে অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এই ওষুধ দেওয়া যাবে না।তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা কম হওয়ায় এই ওষুধ না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, প্যাক্সলোভিডের দামের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ফাইজারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনাভাইরাস মহামারির অবসানে মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আসার বিষয়টিকে সম্ভাব্য বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, বাড়িতে বসেই এই চিকিৎসা নেওয়া যায়। এর জন্য রোগীকে হাসপাতালে যেতে হয় না।

ad

পাঠকের মতামত