32760

পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাইয়ের টানা চতুর্থ হার

স্পোর্টস ডেস্ক: এবারের আইপিএলে যেন ‌শনির দশা ভর করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ওপর। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা কোনোভাবেই জয়ের মুখ দেখতে পারছে না। একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলেছে।

এবার দেখলো টানা চতুর্থ পরাজয়। রোহিত শর্মার দলকে ৭ উইকেট আর ৯ বল হাতে রেখে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এই জয়ে দুই ধাপ এগিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে চলে এসেছে ফ্যাফ ডু প্লেসির দল।

ads

লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ১৫২ রানের। সেই লক্ষ্যকে আরও সহজ করে তোলেন অনুজ রাওয়াত আর বিরাট কোহলি। যদিও অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি খুবই ধীরগতিতে শুরু করেছিলেন।

কোহলির সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ তুললেও ততক্ষণে ম্যাচের ৮ ওভার পার হয়ে গেছে। ২৪ বলে ১৬ করে আউট হন ডু প্লেসি। এরপর রাওয়াত আর কোহলির ম্যাচ জেতানো ৮০ রানের জুটি (৫২ বলে)।

ads

৩৮ বলে আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন রাওয়াত। দারুণ খেলে অবশেষে ১৬তম ওভারে এসে আউট হন এই ব্যাটার। ৪৭ বলে গড়া তার ৬৬ রানের ইনিংসটিতে ২ বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৬টি ছক্কার মার!

রাওয়াত যখন আউট হয়েছেন, ব্যাঙ্গালুরুর জয় তখন বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে। ১৯ বলে ২২ দরকার ছিল তখন। শেষদিকে এসে আউট হন কোহলিও, হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় (৩৬ বলে ৪৮) ছিলেন তিনি।

তবে কোহলি ফেরার পর উইকেটে এসে আর দেরি করেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনি জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ব্যাঙ্গালুরুর।

এর আগে সূর্যকুমার যাদবের ৩৭ বলে ৬৮ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে বড় বিপদ কাটিয়ে ৬ উইকেটে ১৫১ রান তুলে রোহিত শর্মার মুম্বাই।

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল মুম্বাইয়ের। রোহিতের ব্যাটে ৩৮ বলের বলের উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ ছোঁয় দল। কিন্তু ১৫ বলে ২৬ করে রোহিত ফেরার পরই হঠাৎ ধস নামে মুম্বাই ইনিংসে।

ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ৮ রানে আউট হন। ধীরগতির এক ইনিংস খেলে (২৮ বলে ২৬) সাজঘরের পথ ধরেন ইশান কিশান। এরপর তিলক ভার্মা আর কাইরন পোলার্ড শূন্য রানেই দলকে বিপদে ফেলে ফেরেন। ২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে মুম্বাই।

এমন সময়ে রমনদ্বীপ সিং ৬ করে আউট হলে ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রোহিতের দল। মনে হচ্ছিল, ১০০ করাই কঠিন হয়ে যাবে!

সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং সূর্যকুমারের। জয়দেব উনাদকাতকে নিয়ে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৪১ বলে ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়েন তিনি, যে জুটিতে উনাদকাতের অবদান মাত্র ১৩ রান।

বিধ্বংসী সূর্য তার ইনিংসে চারের চেয়ে ছক্কা মেরেছেন বেশি। ৩৭ বলে অপরাজিত ৬৮ করতে ৫টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৬টি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ১৮৩.৭৮!

ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আর হর্ষল প্যাটেল।

ad

পাঠকের মতামত