29743

কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা

মাইনুল হকঃ কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

ads

অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) নাজমুল হক খান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহাদাত হোসেন, জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন, সিনিয়র সচিব মহোদয়ের একান্ত সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সাত্তার, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী শওকত হোসেন প্রমুখ।

সভায় সঞ্চালনা করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমেন রায়।

ads

এ সময় বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলার সকল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকগন, জেনারেল হাসপাতালের সকল বিভাগের কনসালটেন্ট, নার্সিং কর্মকর্তাবৃন্দসহ স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, কোভিভ-১৯ আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অনেকে আমাদের কাছ থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছে। বৈশ্বিক অতিমারীর এ সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে দেশের ১৮কোটি মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে ডাক্তার-নার্স, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করার কারণে আমরা কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারণে কোভিডের টিকা নিয়ে এখন আর কোন সমস্যা নেই।

কুমিল্লায় স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে যোগদানের পর দেশে এক ডোজ ভ্যাকসিনও ছিলনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বল্প সময়ের মধ্যে চীন, রাশিয়া, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি করেছি। এসব দেশ থেকে কোভ্যাক্স, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, মর্ডানা, সিনোফার্মা ও ফাইজার টিকা এনে মানুষের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিচ্ছি। প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি ডোজ টিকা আমরা পাচ্ছি। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরকে টিকার আওতায় নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, কোভিডকালীন সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় ৪ হাজার চিকিৎসক ও ১৪ হাজার মিডওয়াইফারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে চিকিৎসক-নার্স সংকট রয়েছে সেখানে আগামী অল্পদিনের মধ্যে সেখানে তাদের পদায়নের মাধ্যমে সংকট নিরসন করা হবে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১২ বছর সময়কালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের স্বাস্থ্য সেবায় ৫ লাখ ডাক্তার-নার্স-কর্মচারী সম্পৃক্ত হলে এদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য আর কাউকে ভারত, থাইল্যান্ড ও অন্যান্য দেশে যেতে হবেনা। বিদেশীরা আমাদের দেশে চিকিৎসা নিতে আসবে।দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করতে পারলে হাজার হাজার ডলার দেশের বাইরে যাবে না। এ ব্যাপারে সরকার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রত্যেক চিকিৎসক-নার্সকে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে সকল মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা-সেবা পৌঁছে দিতে হবে। দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো সরকার ও প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে। চিকিৎসকেরা একটু আন্তরিক হলে এ চেয়ে দ্বিগুন সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

মতবিনিময় সভার পূর্বে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সভা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

ad

পাঠকের মতামত