29088

আদ্রা ইউনিয়নে নাজমুল হোসেন মজুমদারের গণজোয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৩নং আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। এ নির্বাচনকে ঘিরে আদ্রা ইউনিয়নের মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। দোয়া এবং সমর্থনের আশায় দিনরাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

এ ইউনিয়নে নৌকার টিকিট পেতে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, আদ্রা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ করিম, কুমিল্লা দঃ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এবং বরুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন মজুমদার এবং মরহুম হাবীব উল্লাহ মাস্টারের মেঝো ছেলে রাকিবুল হাসান লিমন।

ads

এই ৩ হেভিওয়েট নেতার মধ্যে ওই ইউনিয়নের মানুষের মুখে মুখে নাজমুল হোসেন মজুমদারের নাম শোনা যাচ্ছে। ইউনিয়নের ২৩টি গ্রামের সাধারণ ভোটারদের মন জয়ে করে ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন নাজমুল। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ছাত্র রাজনীতি করা নাজমুল হোসেন মজুমদার তার কৌশলী রাজনৈতিক দক্ষতায় আদ্রা ইউনিয়নের মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান গেড়েছেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারটা শুরু করেন ১৯৯৮ সাল থেকে। ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দিয়ে শুরু হয় পথচলা। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দীর্ঘসময় ধরে দল ক্ষমতায় না থাকা কালীন বহু ত্যাগ তিতিক্ষায়ও ছাত্র রাজনীতি থেকে দমে যাননি তিনি। লড়াই করে গেছেন তৃণমূল থেকে দলের হয়ে। দীর্ঘ সময়ের পর ২০০৪ সালে বরুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। দীর্ঘ ১০ বছর সে পদে থাকার পর ২০১৪ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে গঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হন নাজমুল হোসেন মজুমদার। বর্ণাঢ্য এই রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পথ পাড়ি দিতে বহু সংগ্রাম এবং ত্যাগ তিতিক্ষার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন নাজমুল হোসেন মজুমদার।

ads

জন্ম আদ্রা ইউনিয়নের পেরপেটি মজুমদার বাড়ির সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। বাবা মরহুম মোবারক হোসেন মাস্টারের হাতে রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল নাজমুল হোসেন মজুমদারের। মরহুম মোবারক হোসেন মাস্টারও সারাজীবন ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। স্কুল শিক্ষক বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে নাজমুল হোসেন মজুমদারের দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা।

শিক্ষা জীবনে ২০০০ সালে পেরপেটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, পয়ালগাছা পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ থেকে ২০০২ সালে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে ২০০৭ সালে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে পলিটিকাল সায়েন্সের উপর মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন নাজমুল হোসেন মজুমদার।

সৎ, বিনয়ী, শিক্ষিত এবং মার্জিত চরিত্রের নাজমুল হোসেন মজুমদার তার শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন আদ্রা ইউনিয়নসহ গোটা বরুড়া উপজেলায়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আদ্রা ইউনিয়নের ২৩টি গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ নাজমুল হোসেন মজুমদারকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়৷ এ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ মনে করে নাজমুল হোসেন মজুমদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি নির্যাতিতের পাশে দাঁড়াবেন। গরীব অসহায় মানুষের আস্থার জায়গাটুকুও জয় করে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন মজুমদার। এ ইউনিয়নের মানুষের বিশ্বাস নাজমুল হোসেন মজুমদারকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেলে তারা একজন যোগ্য ব্যক্তিকে পাবেন।

যদিও দলের তৃণমূল নেতৃবৃন্দের উপরই নির্ভর করছে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকার টিকিট পাওয়া।

টিকিট পাওয়ার বিষয়ে নাজমুল হোসেন মজুমদার বলেন, বরুড়ার গণমানুষের নেতা, বরুড়ার উন্নয়নের রূপকার নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি যদি আদ্রা ইউনিয়নের ২৩টি গ্রামের সাধারণ ভোটারদের দাবি শোনেন তবে আমি বিশ্বাস করি নৌকার টিকিট তিনি আমার হাতেই দিবেন। নৌকার টিকিট পেলে এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম হবে শহর এই স্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে আদ্রা ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মনপ্রাণ উজাড় করে কাজ করবো।

ad

পাঠকের মতামত