28818

নোয়াখালীতে ‘গান্ধী মেমোরিয়াল মিউজিয়াম’ উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর জয়াগের গান্ধী আশ্রমে ‘গান্ধী মেমোরিয়াল মিউজিয়াম’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এ মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন।

ads

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য মিজ অরোমা দত্ত, জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি তৌমু পউতি আইনেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সভাপতি বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলুর রহমান, গান্ধী আশ্রমের ট্রাস্টি রাহা নব কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভারত ভাগের এক বছর আগে হিন্দু-মুসলমানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামাতে ১৯৪৬ সালের ১০ নভেম্বর চৌমুহনীতে আসেন করমচাঁদ মহাত্মা গান্ধী। সেখানকার যোগেন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে দুই রাত কাটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তার শান্তির লক্ষ্যে পদযাত্রা শুরু করেন। পরের দিনগুলোতে তিনি খালি পায়ে ১১৬ মাইল হেঁটে প্রায় ৪৭ দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেন।

ads

সোনাইমুড়ীর জয়াগের তৎকালীন জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ নিজ জমিদারির সব সম্পত্তি মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য গান্ধীকে দিয়ে দেন। এরপর জমিদার বাড়িতে গড়ে ওঠে গান্ধী শান্তি ক্যাম্প। বাড়ির পাশে একটি কারিগরি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন গান্ধী। যা পরে গান্ধী মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউট ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে জাতীয়করণ করা হয়। যেখানে কর্মমুখী শিক্ষার পাশাপাশি গান্ধীর সাতটি অহিংস নীতি-নীতিহীন রাজনীতি, নৈতিকতাহীন বাণিজ্য, পরিশ্রমহীন সম্পদ, চরিত্রহীন শিক্ষা, মানবতাহীন বিজ্ঞান, বিবেকবর্জিত আনন্দ ও ত্যাগহীন অর্চনা জীবন দর্শন সম্পর্কে আগামী প্রজন্মদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তারাও জানতে পারছে মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে।

১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ‘গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট’ অর্ডিন্যান্স গঠনের মধ্যদিয়ে মানুষের মধ্যে গান্ধীর জীবনদর্শন ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ শুরু করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত