24483

জঙ্গিদের নীরবতা ভয়াবহ ইঙ্গিতও হতে পারে : ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক নিউজ: ২০১৬ সালের (১ জুন) রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে উগ্রবাদীদের তৈরি একটি দুষ্ট ক্ষত’ বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ বিষফোঁড়া হয়ে আছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হলেও এ অপশক্তি একেবারে নির্মূল হয়েছে তা বলা যাবে না। তিনি মনে করেন, ‘হয়তো তারা (উগ্রবাদীরা) অতিগোপনে তলে তলে তাদের শক্তিবলয় বাড়াচ্ছে। তাদের নীরবতা অন্য কোনো ভয়াবহ ইঙ্গিতও হতে পারে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।’

ads

ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণের মাঝে একটি ঐক্য তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে সামাজিক প্রতিরোধ তারই প্রমাণ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটনের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক রাষ্ট্র তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই আমাদের অঙ্গীকার।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতেরবেলায় গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের হোলি আর্টিজান বেকারিতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশিক্ষিত পাঁচ জঙ্গি রোজার ঈদের এক সপ্তাহ আগে পিস্তল, সাবমেশিনগান আর ধারালো অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালায়। জঙ্গিরা জবাই ও গুলি চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরদিন কমান্ডো অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সংকটের অবসান হয়।

ads

‘আঁধার কেটে যাবে, সুদিন আসবে’

নিরাপদ জীবনের জন্য করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউনে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ায় জনগণের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত কয়েকদিনে করোনায় ধারাবাহিকভাবে শতাধিক মৃত্যু এবং উচ্চমাত্রায় সংক্রমণ ভয়ানক অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে, এমন অবস্থায় সচেতনতা ও সতর্কতার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অনুসরণ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার মানবিক ও দক্ষ নেতৃত্বে এ কঠিন পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হব ইনশাআল্লাহ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশা প্রকাশ করে বলেন, এ আঁধার কেটে যাবে, সুদিন আসবে। তবে তার আগে ঘরে ঘরে সতর্কতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।

লকডাউনে অনেক অসহায় ও খেটেখাওয়া মানুষ সঙ্কটে পড়েছে, কিন্তু সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো অসহায় মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, না খেয়ে থাকে, এজন্য শেখ হাসিনা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছেন।

প্রয়োজনে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, করোনা কাউকে ছাড় দেয় না, কোনো শ্রেণিভেদ মানে না।

ad

পাঠকের মতামত