24336

ভোগান্তি দেখতে দেখতে অনেকে মরে গেছেন: আতিক

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর সড়কে ভোগান্তি দেখতে দেখতে অনেক নাগরিকই মরে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। ভোগান্তি পোহাতে পোহাতে সুদিন আসার আগেই তারা পৃথিবী ছেড়ে গেছেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাজধানীর কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র। মিরপুর ১০ থেকে শেওড়াপাড়াগামী সড়কে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি তদারকি করতে পরিদর্শনে যান তিনি।

ads

এ সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কারণে কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মানুষদের দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আতিক। তিনি বলেন, এ সড়ক উন্নয়নের জন্য তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে।

চুক্তির শর্ত ছিল ফুটপাত তারা দেখভাল করবে যেন পথচারীদের চলাচলের উপযোগী থাকে। ফুটপাতের নিচের ড্রেন তারা পরিষ্কার করবে যদি ব্লক হয়ে যায়।
মূল সড়কের নিচে থাকা মাস্টার ড্রেন ওয়াসা পরিষ্কার রাখবে। কিন্তু এর কিছুই হয়নি। এখানকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন এ ভোগান্তি সহ্য করেছেন। ভোগান্তি দেখতে দেখতে অনেকে মরে গেছেন, দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন।
আতিক বলেন, আমার সঙ্গে এখানকার কাউন্সিলর আছেন। তারা বারবার আমাদের এসব বিষয়ে জানিয়েছেন। এমনটা আর হতে দেওয়া যাবে না। এখন থেকে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে শতভাগ কমপ্লায়েন্সে আসতে হবে। আর তারা যাই করবেন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে। ওয়াসার চুক্তির মেয়াদ শেষ কিন্তু তারা অর্ধেক কাজ করেছে। ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত ড্রেনের পাইপ বসানোর কথা ছিল কিন্তু সেই কাজ তারা কিছুদূর করে বন্ধ করে দিয়েছে। ৩০ মে তাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আমরা ৩-৪ জুন থেকেই পাইপ বসানোর কাজ শুরু করেছি। কারও জন্য বসে থাকেনি। নিজেদের অর্থায়নে ৩৪ কোটি টাকার টেন্ডার করে কাজ শুরু করেছি।

ads

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে শর্ত ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করে আতিক বলেন, এটা তাদের কারণে হয়েছে। উপর দিয়ে মানুষ মেট্রোরেলে যাবে আর নিচে তাকালে এ বেহাল দশা দেখবে। এ যেন উপরে ফিটফাট নিচে সদরঘাট। এমনটা হতে দেওয়া যাবে না। এখন থেকে সব কাজ মেট্রোরেল ও সিটি করপোরেশন সম্মিলিতভাবে করবে।

ad

পাঠকের মতামত