20801

তৃতীয় লিঙ্গের ৩০০ জন পেলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ

চট্টগ্রাম: বাস, দোকান কিংবা বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে চাঁদা তুলে জীবন চলে তাদের। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের এই জীবিকার পথ। পড়েছেন নিদারুণ কষ্টে। এবার তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের দুর্ভোগের বিষয় চিন্তা করে এগিয়ে এলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেই রোববার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বেলা ১১টায় এ সম্প্রদায়ের ৩০০ জনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

ads

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, করোনাকালে যেসব শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে বা কষ্টে আছে তাদের প্রত্যেকের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।

এর অংশ হিসেবে আজ সমাজের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে নরসুন্দর, মুচি, জেলে, প্রতিবন্ধী, বেদে সম্প্রদায় ও পরিবহন শ্রমিকসহ যারা অতিকষ্টে দিনযাপন করছে তাদের প্রত্যেককে পর্যায়ক্রমে ত্রাণের আওতায় আনা হবে।

ads

তিনি বলেন, আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে থাকবে না। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন সমাজের অসহায় ও অসচ্ছল মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করছে তারা আমাদের কাছে টেলিফোন ও এসএমএস করছেন। তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের কাছে ২০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে। নগরে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিছু অসচ্ছল পরিবারের মাঝে নগদ অর্থও দেয়া হয়েছে।

করোনার এই সময়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, মাসুদ রানা, আলী হাসান, মিজানুর রহমান, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী।

জেলা প্রশাসনের ওই ত্রাণসামগ্রীর প্রতি প্যাকেটে ছিল- আট কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি চিড়া, দুই কেজি আলু, এক কেজি চিনি, এক কেজি সেমাই ও ১০০ গ্রাম চা-পাতা।

ad

পাঠকের মতামত