13754

মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সবার জন্য পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে বিশেষভাবে সচেষ্ট আছে। এ লক্ষ্য অর্জনে পুষ্টির উৎস শাকসবজি ও ফলমূলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার কৃষিখাতে বায়োটেকনোলজি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, প্রতি ইউনিয়নে কালিকাপুর মডেল অনুসরণ করে সবজি পুষ্টি বাগান ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

ads

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (বারটান) আয়োজিত ‘কোভিড পরবর্তী বাংলাদেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা : চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক সাইদুল আরেফিন। বারটানের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, আইসিডিডিআরবির সিনিয়র পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, বারটানের পরিচালক কাজী আবুল কালাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ads

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা সব সময়ই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ দেশে প্রায়ই খাদ্যাভাব দেখা দিত, দুর্ভিক্ষ হতো। খাদ্য নিরাপত্তাকে সব সময়ই মনে করা হতো অধরা হরিণের মতো, যা অর্জন করা কখনও সম্ভব নয়। কিন্তু বিগত ১০ বছরে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও এ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের (চাল, গম ও ভুট্টা) উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪ কোটি ৫৩ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। এই দুর্যোগেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতই এখন বড় চ্যালেঞ্জ উলে­খ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় ও আধুনিক জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মতো প্রাণিজ আমিষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলমান আছে। পুষ্টির অন্যতম সহজলভ্য উৎস হল ব্রয়লার মুরগি। অথচ বাংলাদেশের মানুষ অনিরাপদ মনে করে এটি কম খেতে চায়। সেজন্য, গবেষণা ও পরীক্ষা করে মানুষকে যদি ব্রয়লার মুরগির মাংস সম্পূর্ণ নিরাপদ এই বার্তা দেয়া যায়। তাহলে সীমিত আয়ের মানুষেরা তাদের প্রাণিজ পুষ্টির অনেকটাই পূরণ করতে পারবে এর মাধ্যমে।

ad

পাঠকের মতামত