10493

মানুষের সমর্থনেই মুক্তি পেয়েছিলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক: এক যুগ আগে জনগ’ণের অকু’ণ্ঠ সমর্থনে সেনা নিয়’ন্ত্রিত তত্ত্ব’বধায়’ক সরকা’রের সময়ে ১১ মাসের কারা’বাস থেকে মুক্তি পেয়ে’ছি’লেন বলে ম’ন্তব্য ক’রেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্প’তিবার (১৬ জুলাই) গণভ’বনে জাতী’য়’ বৃক্ষরো’পণ অ’ভিযান-২০২০ এবং মুজিববর্ষ উপল’ক্ষ্যে সারাদে’শে এক কোটি গাছে’র চারা বিতরণ ও বৃ’ক্ষরোপণ কার্য”ক্র’মের উদ্বোধন অনু’ষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ’র দিনটা একটা বিশে’ষ দিন, কারণ ২০০৭ সালে তদা’নিন্তন তত্ত্বা’ব’ধায়ক স’রকার আমা’কে গ্রে’প্তার’ করেছিল, আমার বিরুদ্ধে মি’থ্যা মা’মলা দিয়েছিল। আমি কৃত’জ্ঞতা জানাই আমার বাংলাদে’শের জন”গণের প্রতি, প্রবা’সীদের প্রতি এবং বিশ্ব নেতা’দের প্রতি। সেই সা’থে আমি ধন্যবাদ ”জানাই আমা’দের সংগঠন, বিশে’ষ করে ঢাকা মহান’গর আওয়া’মী লীগ থেকে শু’রু করে সকল সংগঠন এবং সহযো’গী সং’গঠন, তারা প্রতিবা’দ করে’ছিলেন।

ads

ওই সময় ঢাকা ম’হানগর আওয়ামী’ লীগ ২৫ লাখ মানুষে’র স্বা’ক্ষর সংগ্র’হ করে ত’ত্ত্ববধা’য়ক সর’কারের প্র’ধান উ’পদে’ষ্টার অফি’সে দি’য়েছি’লেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদে’র এই সমর্থ’ন আমি পেয়েছি’লাম বলেই এবং জাতীয়, আন্ত’র্জা’তিক চাপে আমাকে মুক্তি দি’তে বা’ধ্য হয়। যদিও আমার বি”রদ্ধে বিএ’নপির আ’মলে ১২টা মামলা দেওয়া হয় আর ত’ত্ত্বব’ধায়ক সরকা’রের আ’মলে আ’রো পাঁচটা মি’থ্যা মা’ম’লা দেওয়া হয়।

প্রতিটি মাম’লা.. আমি বলেছি ত’দ’ন্ত করে দেখতে হবে যে আ’মি কোনো দু’র্নীতি করেছি কিনা। ঠিক সেটাই করা হয়েছে। কাজেই আল্লাহর রহমতে সবকিছু থে’কে’ই আমি খালাস পেয়ে’ছি এবং জ’নগ’ণের প্রতি আ’মার কৃত’জ্ঞ’তা যে তাদের অ’কুণ্ঠ সম’র্থনে আমি মুক্তি পে’য়েছি’লাম ২০০৮ সালে।

ads

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হা”সিনা ‘বলেন, দেশের জন্য, জাতির জন্য কাজ করা এটা আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মু’জিবুর রহ’মানের কাছ থেকে আ’মি শি’খেছি। যে’কো’নো অবস্থা মো’কাবে’লা করা, প্রতি’কূল অবস্থা মোকাবেলা করে চলা আর সৎপথে থেকে দেশ ও জাতির কল্যা’ণ করা।

জাতির পিতা বাংলা’দেশের স্বা’ধীনতা এনে দি’য়েছেন উ’ল্লেখ করে তিনি বলেন, তার আদর্শে বাংলা’দেশকে গড়তে চাই। ক্ষু’ধামু’ক্ত, দা’রিদ্র্য’মুক্ত বাংলা’দেশ হিসেবে। ইনশা’ল্লাহ বাং”লাদেশকে আ’মরা ক্ষু’ধামুক্ত, দারি’দ্র্য’মুক্ত বাংলা’দেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুল’বো।

তিনি বলে’ন, যদিও ক’রো’না হয়ত আমা’দের সকল অগ্রযাত্রা’ সাময়ি”কভাবে থামিয়ে দিয়ে’ছে তবে আমি আশা করি যে জন’গণ এর থেকে মুক্তি পাবে, আবার আম’রা এগিয়ে যাবো।

বিএনপি ২০০৬ সালে ক্ষম’তা ছাড়ার পর ২০০৭ সালে রাজনৈ’তিক সংঘা’তের মধ্যে সেনা নিয়ন্ত্রণে যে ত’ত্ত্বাবধা’য়ক সরকার ক্ষ’মতা নিয়েছিল, তারা গ্রেপ্তা’র করে দুই নেত্রী শেখ হাসি’না ও খা’লেদা জি’য়াকে। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই নিজস্ব বাস’ভবন ধান’মন্ডির সুধা সদন থেকে ব’ঙ্গবন্ধু কন্যা এবং বর্তমান প্র’ধানমন্ত্রী’কে মিথ্যা অভি’যোগে গ্রেপ্তা’র করা হয়। প্রায় ১১ মাস তাকে রাখা হয় সংসদ ভবন এলা’কার’ বিশেষ কারা’গারে।

কারাগারে থাকাকালে শেখ হাসি’না জা’তীয় ও আন্তর্জাতিক”ভাবে তার মুক্তির জোরা’লো দাবি ওঠে। চাপের মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধা’য়ক সরকা’র ২০০৮ সালের ১১ জুন শেখ হাসি’নাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ওই বছরই ২৯ ডিসে’ম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সং’সদ নি’র্বাচনে আ’ওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে স’রকার গঠন করে। গ্রে’প্তা’রের সেই দিন’টিকে আওয়া”মী লীগ স’ভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসি’নার ‘কারা’বন্দি দিবস’ হিসেবে পাল’ন করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত