9553

নগরবাসীকে ২৪ ঘণ্টা সেবা, অবহেলায় তাৎক্ষণিক বহিষ্কার: তাপস

নিউজ ডেস্ক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন থেকে ঢাকাবাসীকে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, আমরা উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে নগরবাসীকে নিয়ে এগিয়ে যাবো। এই মহামারির মধ্যে কোনো কাজ বন্ধ হবে না। প্রতিটি কাজ চলমান থাকবে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে অবহেলা করলে তাদের তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে।

ads

রোববার (৭ জুন) পুরান ঢাকার আরমানিটোলার সামসাবাদ মাঠে বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এমএ মান্নানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা একটি মহামারির মধ্যে আছি। করোনা ভাইরাসে আমরা সংক্রমিত। ইতোমধ্যে অনেকই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ অবস্থায় গত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকাবাসী আমাদের প্রতি আস্থা রেখে যে রায় দিয়েছিল সে রায়ের প্রতিফলন আমাদের দেখাতে হবে। এজন্য আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মশক নিধন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

ads

‘এই কার্যক্রম ঢেলে সাজানো হয়েছে। গত কয়েক বছর এই কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। আমি ১৬ মে দায়িত্ব গ্রহণ করে ১৭ মে থেকে কাজ শুরু করেছি। প্রথম কাজ হলো মশক নিধন কার্যক্রম।’

তিনি বলেন, আমরা যে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি সেখানে আগে বর্জ্য অপসারণের কাজ সকালে এক ঘণ্টা করা হতো এখন সেটা চার ঘণ্ট করা হয়েছে। আর ধোঁয়া দিয়ে মশক নিধন আগে মাগরিবের সময় এক ঘণ্টা করা হতো এখন সেটা বাড়িয়ে দুপুর আড়াইটা থেকে মাগরিব পর্যন্ত চালু করেছি। আমরা যদি এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সুন্দর করে সম্পন্ন করতে পারি তাহলে ঢাকাবাসীকে এই মশার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবো।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, এই মহামারির ধ্যে আমরা চাই না নগরবাসী নতুন করে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হোক। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। এই কার্যক্রম সারা ঢাকার ৭৫টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে বছরব্যাপী চলবে। কোনো লোক দেখানো কার্যক্রম নেই। যে আজ হলো কাল বন্ধ হয়ে যাবে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত মশককর্মী দেওয়া হয়েছে। তাই কেউ যদি কাজে অবহেলা করে বা কাজে না যায় তাদের তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে।

‘আমরা ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সেগুলো বাস্তবায়ন করবো। ঢাকাবাসীকে একটি মশামুক্ত ঢাকা উপহার দেবো৷ আমি আশাকরি এই মশক নিধন কার্যক্রম ঢাকাবাসীর কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

কাউন্সিলরদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, কোনো ওয়ার্ডে মশার মাধ্যমে কোনো পরিবার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটা আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন।

ad

পাঠকের মতামত