9379

আজ থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫৫ শয্যা বিশিষ্ট করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই চিকিৎসা কেন্দ্রে ১০টি আইসিইউ শয্যারও ব্যবস্থা রয়েছে।

বুধবার (৩ জুন) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ভবনে এই করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

ads

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান, কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান, কুমিল্লা জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ মোরশেদুল আলম, এলজিআরডি মন্ত্রীর মুখপাত্র কামাল হোসেন সহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, পূর্বে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরনের জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই আলাদাভাবে এই চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হলো। এ পর্যন্ত কুমিল্লা জেলায় এক হাজারেরও বেশ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের ফলে এই জেলায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার দুয়ার উন্মোচিত হলো।

ads

কুমিল্লা-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, অনেক কষ্ট করে সকলের সহযোগিতায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হলো, সুন্দর ও সুষ্টভাবে করোনা রোগীরা যাগে চিকিৎসা নিতে পারে এজন্য সাংবাদিক সহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন এমপি বাহার।

তিনি বলেন, আরো একপি পিসিআর মেশিন সংগ্রহ কারা হবে, করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহের জন্য আরো দুটি নমুনা সংগ্রহকারি টিম বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে অত্র হাসপাতালে নতুন আলাদা ভবনে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুুত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দৈনিক ৮ ঘন্টা করে ৩ শিফটে চিকিৎসা দেবেন ডাক্তারগণ। প্রতি শিফটে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা কর্মচারি ও সহকারি মিলিয়ে ৩০ জন কাজ করবে। হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকালীন সময়ে সকল ডাক্তার ও নার্স কর্মচারিরা হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকবেন। ১০ দিন পর কোয়ারেন্টাইনে চলে যাবেন, আসবেন ডাক্তারদের নতুন গ্রুপ। করোনা আক্রান্ত রোগী অত্র ইউনিটে পরীক্ষা-নিরিক্ষন সহ সকল সুবিধা পাবেন।

ad

পাঠকের মতামত