8427

ফতুল্লায় অর্ধাহারে থাকা ২৫ পরিবারের পাশে শামীম ওসমান

নিউজ ডেস্ক: ভোটার আইডি কার্ড নাই, তাই গত ২ মাসে কেউ কোন পোটলাও(ত্রাণ) দেয় নাই। কিন্তু রোববার রাইতে এক ভাই আইসা ঘুম থেকে ডাইক্কা উঠাইয়া বললো এমপি শামীম সাব সবার ঘরে ত্রাণ পাঠাইছে। ব্যাগ খুইল্লা চোখের পানি ধইরা রাখতে পারি নাই- এভাবেই নিজের অনুভুতি জানালেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা আয়নব বানু।

থাকেন ফতুল্লার সদর উপজেলার সস্তাপুর এলাকার কমর আলী স্কুল রোডে। শুধু আয়নব বানুই নন, একই দেয়ালের ভেতরে ঘিঞ্জি পরিবেশে সেখানে বসবাস করেন আরও ২৪টি পরিবার।

ads

পেশায় কেউ ফেরিওয়ালা, কেউ গার্মেন্ট কর্মী, কেউ সবজি বিক্রেতা আবার কেউ ভ্যান-রিকশা চালক। এক রুমের কামড়াতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তারা। লকডাউনের কারণে হয়ে পরেন কর্মহীন।

ওই বাড়ির অন্য বাসিন্দা চিত্ত রঞ্জন, জরিনা, আঞ্জুমান ও আয়শাসহ সবাই বললেন, আমরা ওই বাড়িতে ২৫টি পরিবার উপজেলা রোডে টিটু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকি।

ads

স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান পরিবারের সবাই এক কামড়ার ঘরেই যার যার মতো বসবাস করি। আমাদের করো বাড়ি ময়মনসিংহ, কারো গাজীপুর, কারো মুন্সিগঞ্জ এবং কারো বাড়ি যশোর জেলায়।

এখানকার ভোটার আইডি কার্ড না থাকায় যারাই ত্রাণের লিস্ট করতে আসছিলেন কেউই আমাদের নাম নেন নাই। কাজ না থাকায় খুবই সমস্যায় ছিলাম। কেউ অর্ধাহারে কেউ অনাহারে বেঁচে ছিলাম। সাহায্য চাওয়ার মতো কাউকেই পাচ্ছিলাম না।

পরে বিষয়টি পাশের বাড়ির সাংবাদিক সালাহউদ্দিন ভাইকে জানালে উনি আশ্বস্ত করেছিলেন। এব্যাপারে ঢাকা সাব এডিটর কাউন্সিলের সাবেক দফতর সম্পাদক এমএম সালাহউদ্দিন মোল্লা জানান, আমার বাড়ির দেয়াল ঘেষেই এই ২৫টি পরিবার থাকেন।

তাদের দুর্দশার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তা স্থানীয় এমপি একেএম শামীম ওসমানকে জানালে উনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন। রোববার গভীর রাতেই ২৫টি অসহায় পরিবারের জন্য এমপি শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে আসেন যুগান্তরের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ।

নিজে কাধে করেই ত্রাণের বস্তা নিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সবগুলো পরিবারকে দেন তিনি। এসময় অসহায় পরিবারের সদস্যরা সবাই এমপি শামীম ওসমানের জন্য দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সূত্র: যুগান্তর

ad

পাঠকের মতামত