3200

কুমিল্লার সড়কে বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় নয়: এমপি বাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন, ‘কুমিল্লার সড়কে কোন বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই সরকার আইন করেছেন এটা কোন পক্ষের বিরুদ্ধে নয়। কুমিল্লা শান্তির শহর। শান্তির কুমিল্লাকে অশান্ত করতে দেয়া হবে না। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার বদ্ধপরিকর। সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ ক্ষেপে গেলে রাস্তায় দাঁড়াতেও পারবেন না।

ads

সড়ক আইনের বিরোধীতা করে সারাদেশে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধে সকাল থেকে স্থবির হয়ে পরে কুমিল্লার শাসনগাছা, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালসহ সড়ক-মহাসড়ক রাস্তাগুলো। বুধবার সকাল থেকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা ফ্লাইওভারের মুখে অবরোধ করতে থাকে শ্রমিকরা। খবর পেয়ে দুপুর ১২ টায় ফ্লাইওভার এলাকায় আসেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার। এসময় সড়ক অবরোধকারীদের উদ্দেশ্যে করে এসব কথাগুলো বলেন এমপি বাহার।

এদিকে মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় একদল পরিবহন শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে নৈরাজ্যের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে আসলে ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্যকারিরা পালিয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠে। অঘোষিত ধর্মঘটের নামে পরিবহন শ্রমিকরা যাতে মহাসড়কে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, তাৎক্ষণিক ফোন করে কুমিল্লার পরিবহন নেতাদের সে ব্যাপারে কথা বলেন এমপি বাহার ।

ads

জনা যায়, সড়ক আইনের বিরোধীতা করে কুমিল্লা পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধে ফলে সকাল থেকে কুমিল্লা শাসনগাছা-কান্দিরপাড় সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা এক পর্যায়ে চালকদের মুখে মবিল মেখে দেয়। ভোগান্তির মধ্যে পরে হাজার-হাজার যাত্রী। পরে এমপি বাহারের হস্তক্ষেপে পরে অবরোধকারীরা চলে যেতে বাধ্য হয়।দুপুড় সাড়ে ১২টা থেকে পুনরায় যান চলাচলা স্বাভাবিক হয়।

এদিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে দু একটা মালামাল আনা নেয়ার কাজে ট্রাক দেখা গেলেও চোখে পড়েনি কোন যাত্রীবাহী বাহন। পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ও জাঙ্গালীয়া বাসস্ট্যান্ডে যানবাহনের জন্য হাজারো যাত্রীর হাহাকার ছিলো লক্ষনীয় বিষয়। এ বিষয়ে জেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব তাজুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে এমন সিদ্ধান্ত হয়নি। কিছু পরিবহনের চালক ও হেলপাররা যানবাহন চলাচলে বিগ্ন ঘাটায়। এটা কোন কেন্দ্রীয় ধর্মঘট নয়।

ad

পাঠকের মতামত