2681

প্রতিবন্ধী স্কুল দখলের চেষ্টা, প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরশ সমাজকল্যান সংস্থার সভাপতি  মোঃ জহির হোসেন গত ২১ অক্টোবর সকালে  কুমিল্লা সদর উপজেলার আড়াইওড়ায়  পরশ প্রতিবন্ধী স্কুল প্রাঙ্গনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

সাংবাদিক সম্মেরনে লিখিত বক্তব্যে   মোঃ জহির হোসেন  সাংবাদিকদের বলেন, পরশ সমাজকল্যান সংস্থা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পরশ প্রতিবন্ধী স্কুলটি অত্র আড়াইওরা এলাকায় স্ব-ভূমিতে ২০০৮সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে (বাংলাদেশ সমাজকল্যান অধিদপ্তর কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন নং-১৮০৭/০৮)। গত ১১বছর যাবত অত্যন্ত সুনাম ও সুষ্ঠুভাবে প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সগৌরবে পরিচালিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ ১০বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে মীর্জা ফাতেমা আহমেদ স্কুলটি সু-প্রতিষ্ঠিত করেন। শহরের অনেক প্রাজ্ঞ-জ্ঞানী-খ্যাত-বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের যথেষ্ট পরিমাণ সহযোগিতা ও সু-পরার্মশ প্রদানে গৌরান্বিত করেছেন। তাছাড়া স্কুলটির প্রসার ও ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হয়ে কুমিল্লা জেলা পরিষদ অনুদানের মাধ্যমে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দেন। নির্মিত ভবনটিতে স্কুলটির কার্যক্রম সাবলীলভাবে চলছে। এরিমধ্যে স্কুলটির সুষ্ঠ এবং নিষ্ঠার সাথে পরিচালিত হওয়ার কারনে মোট তিনবার জাতীয় এবং সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর থেকে সফল সমাজকর্মী হিসাবে সভাপতি ব্যক্তিগত এবং প্রতিষ্ঠানগত পুরস্কার লাভ করেন। অধিকন্ত দেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক ও আর্ন্ত-প্রতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করা সুযোগ হয়। বাংলাদেশ টিচার ট্রেনিং কলেজ কৃর্তক বিভিন্ন জেলার শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ হিসাবে স্কুলটির শিক্ষকমন্ডলীর পরিচালনাক্রম সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন উপকৃত হয়েছেন কয়েকবার।

ads

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্যদে রয়েছেন মীর্জা ফাতেমা আহমেদ (সদ্য প্রয়াত) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মোঃ জহির হোসেন প্রধান উপদেষ্টা, ডাঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি,ডাঃ আবদুস সেলিম,সাধারন সম্পাদক, ডাঃ মাহবুব মোর্শেদ, অতিরিক্ত সম্পাদক(প্রতিবন্ধি বিষয়ক) সদস্য ও সদস্যা প্রমুখ। বর্তমানে স্কুলটিতে মোট ৯৫জন ছাত্র-ছাত্রী ও চারজন শ্রেণি শিক্ষক একজন স্বাস্থ্যগত শিক্ষক ও সেবাকর্মী রয়েছে। সমাজের স্বনামধন্য ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় স্কুলটি গতিশীল আছে। স্কুলটি সামনে রয়েছে অত্র এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দানশীল ব্যক্তির মৌলিকদান করা একচিলতে মাঠ। যাতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শারিরিক প্রশিক্ষণ ও খেলাধূলার জন্য অপরিহার্য্য।

অত্যন্ত পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি যে, গত ৭ই সেপ্টেস্বর-২০১৯ একটি কুচক্রী মহল সামনের খোলা মাঠটি দখল করার নির্মিত্তে কথিত জামাল হোসেন নামে এক ভূমি ফড়িয়া তার সাঙ্গপাঙ্গ মিলে ছবি ও স্ব্ক্ষার সম্বলিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ ফারুক হোসেন প্রতিবন্ধী স্কুল’ নাম করে একটি মনগড়া চিঠির ফটোকপি এলাকাবাসি মধ্যে বিতরণপূর্বক খোলা মাঠটি তথা স্কুলটি আত্মসাৎ করার অপ্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

ads

তাই আপনারদের কাছে আকুল নিবেদন এই কুচক্রী মহল এবং মুক্তিযোদ্ধা নামধারী আলহাজ ফারুক হোসেন থেকে স্কুলটি রক্ষার চেষ্টায় আমাদের সাথে সহমত প্রদান করবেন। আপনাদের বহুল প্রচারিত পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের মাধ্যেমে সচেতন নাগরিক ও জনসাধারণের অবগত করবেন। প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবহেলিত হলেও বর্তমানে তারা কর্মক্ষেত্র ছাড়া অনন্য সকল পর্যায়ে প্রতিভার অবদান রাখছে। কোনো এলাকায় প্রতিবন্দী স্কুল প্রতিষ্ঠিত থাকা গৌরবের। স্বার্থন্বেষী চক্র দ্বারা ধ্বংস হওয়া অগৌরবের। প্রতিষ্ঠানটি কারো কোনো ব্যক্তিগত লাভজনক বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। প্রতিষ্ঠানটির এহেন পরিস্থিতি নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালী থানা কর্তৃক ১৪৫ধারা জারি করা রয়েছে।    সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ রোবায়েত হোসেন ও শিক্ষিকা মাকসুদা ফেরদৌসী।

ad

পাঠকের মতামত