2017

নিঝুমের মা’র হার্টের দুটি বাল্বই নষ্ট, বাঁচাতে সাহায্য করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেধাবী ছাত্রী নিঝুম আক্তারের মা খোরশেদা বেগমকে বাঁচাতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। জন্ম থেকেই হার্টের একটি বাল্ব নষ্ট ছিলো খোরশেদা বেগমের। এখন বাকি বাল্বটিও নষ্ট হয়ে গেছে। খোরশেদা বেগমকে বাচাঁতে হলে প্রতিস্থাপন করতে হবে অন্তত একটি বাল্ব।নিঝুম আক্তার ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে এবছর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে। মায়ের চিকিৎসার জন্য সহপাঠী ও বিত্তবানদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ভূবনঘর গ্রামে। তার বাবার নাম জলিল মিয়া (জজু)। পাঁচ বোনের সংসার ও বৃদ্ধ বাবার পক্ষে এত খরচ বহন করা যে কোন ভাবেই সম্ভবনা। তাই শুরুতে সহপাঠীদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন নিঝুম। তাঁর সহপাঠীরা সহ বিভাগের ছোটবড় সবাই এখন নিজুমের পাশে দাড়িয়েছে।

কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন স্থানে দানের বাক্স হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। নিঝুমের মায়ের চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পোস্ট। গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে নিঝুমের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য শুক্রবার সারাদিন কুমিল্লায় ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের অন্যতম একটি প্রাইবেট কোম্পানির অফিসার ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রাক্তণ ছাত্র সৈয়দ মাহমুদুল হাসান প্রিন্স। তিনিসহ প্রায় ত্রিশজন শিক্ষার্থী নগরীর ধর্মসাগর পাড় এলাকায় মানুষের কাছে হাত বাড়িয়েছেন টাকার জন্য। মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য সহযোগিতা চেয়ে নঝিুম আক্তার ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর জন্য দুটি বিকাশ নাম্বারও দিয়েছেন। পার্সোনাল বিকাশ নম্বারগুলো হচ্ছে ০১৭৯৮০৮৮৪২৯ ও ০১৮৩০৫৪০৪২৭।

ads

সৈয়দ মাহমুদুল হাসান প্রিন্স বলেন, নিঝুমকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। ফেইসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। পরে ভিাগের ছোটভাইদের সাথে কথা বলেছি। নিঝুমের পরিবার সম্পর্কে খবর নিয়েছি। তাঁর বাবা জজু মিয়া বৃদ্ধ মানুষ। নিজুমের অন্যতম অভিভাবক মা খোরশেদা বেগমের হার্টের একমাত্র বাল্বটি নষ্ট হয়েগেছে। নিঝুমের কোন ভাই নেই। পাঁচ বোনের সংসার তাদের। পাঁচ লাখ টাকা ম্যানেজ করতে পারলে খোরশেদা বেগম সুস্থ্য হয়ে উঠবেন শুনে বসে থাকতে পারিনি। শুক্রবার অফিস বন্ধের দিন কুমিল্লায় এসেছি। নিঝুমের সহপাঠী ছোটভাই বোনেরা কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে হাত পেতে বিশ হাজার টাকা সংগ্রহ করে নিঝুমের পরিবারের হাতে দিয়েছে। সেই টাকা নিয়ে নিঝুম তাঁর মাকে ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। এখন বাকি টাকা সংগ্রহ করতে পারলে অপারেশন হবে। আমাদের বিশ্বাস নিঝুমের মা খোরশেদা বেগম সুস্থ্য হয়ে বেঁচে উঠবেন। নিঝুমের মায়ের চিকিৎসার কাজ করছেন তাদের অন্যতম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র তারেক আজিজ, হান্নান সরকার, তোফাজ্জল হোসেন রবিন ও জুয়ের রানা।

এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকা সংগ্রহ হয়েছে তাদের। বাকি টাকা সংগ্রহের জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানবিক বিষয় বিবেচনা করে নিঝুমের পরিবারের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন তারা।

ads
ad

পাঠকের মতামত