
পরমাণু অস্ত্রের হ্রাস টানতে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের সীমা আরোপ করার বিষয়ে কথা বলতে চান।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তার দ্বিতীয় মেয়াদে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ হবে একটি অন্যতম লক্ষ্য।
এদিকে সোমবার রাশিয়া জানিয়েছে, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের শেষ অবশিষ্ট স্তম্ভ বাড়ানোর দৃষ্টিভঙ্গি আশাব্যঞ্জক দেখাচ্ছে না এবং পরিস্থিতি অচল বলে মনে করছে তারা।
রাশিয়ার এমন মন্তব্যের পর বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পদক্ষেপকে সমর্থন করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো কারণ নেই।
একই সঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতিমধ্যেই পুতিনের সাথে তার প্রথম মেয়াদে পারমাণবিক অস্ত্র কমানোর বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন এবং চীনও এতে সম্মত ছিল। তবে কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পরে প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হয়েছিল। পরবর্তীতে জো বাইডেনের সময় সেই আলোচনা বেশি দূর এগোয়নি।
তবে এবার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ফের নতুন করে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও আলোচনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়রেখা জানাননি তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সামরিক খাতে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করার কোনো কারণ নেই। আপনার ৪০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করার কোনো কারণ নেই। চীন ৪০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে যাচ্ছে। আমি বলতে যাচ্ছি আমরা এটি নিষ্পত্তি করতে পারি, আমরা এটি অন্যান্য জিনিসগুলিতে ব্যয় করতে পারি।’
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমাদের ইতিমধ্যেই এটি অনেক আছে, যা দিয়ে আপনি পৃথিবীকে ৫০ বার বা ১০০ বার ধ্বংস করতে পারেন। চীন সেই সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে কারণ তারা অনেক পিছিয়ে আছে, কিন্তু তারা পাঁচ বা ছয় বছরের মধ্যে সমান হয়ে যাবে।’