মার্কিন অবস্থানে স্বস্তিতে আদানি, বাড়ছে সম্পদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বছরের শুরুতে বিতর্কে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন গৌতম আদানি। কিন্তু ২০২৩ সাল শেষ হওয়ার আগেই অস্বস্তি কাটতে শুরু করেছে আদানি গ্রুপের কর্ণধারের। কয়েকদিন আগেই বিশ্বের প্রথম ২০ ধনকুবেরদের তালিকায় প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি। এবার হিন্ডেনবার্গ বিতর্কেও তার কোম্পানিকে স্বস্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে নিউইয়র্কের শর্ট সেলার ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’ নামের সংস্থাটি তা ‘অপ্রাসঙ্গিক।’ কেবল তাই নয়, সেই সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার ৬০৮ কোটি রুপি ঋণও দেওয়া হয়েছে আদানি গ্রুপকে। শ্রীলঙ্কায় একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ওই ঋণ দেওয়া হয়েছে।

হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বড় সমস্যায় পড়েছিলেন আদানি। গ্রুপটির বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে কোটি কোটি রুপি লোকসান হয়।

হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগ আনার পরেই সরব হয়েছিল কংগ্রেসসহ ভারতের বিরোধী দলগুলো। এই প্রসঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব থাকায় সমালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও গেরুয়া শিবির দাবি করেছিল, গোটাটাই ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইন্ডেক্স অনুসারে সারা বিশ্বের নিরিখে এই মুহূর্তে ধনকুবের হিসেবে আদানি রয়েছেন ১৯তম স্থানে। আসলে আদানি গোষ্ঠীর ১০টি সংস্থাই সম্প্রতি দারুণ লাভের মুখ দেখেছে।

সব মিলিয়ে তাদের বাজার মূলধন বেড়েছে ১ লাখ কোটি রুপিরও বেশি। এর জেরেই গৌতম আদানির ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখোগ্য হারে।

সূত্র: এনডিটিভি