47923

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধ গাজায় শুরু হওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শুক্রবার ম্যাসাচুসেটসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শুক্রবার প্রথম দফায় জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ‘কেবল শুরু’।

মূলত কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সেই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদী বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের রূপরেখা তৈরির ব্যাপারে নতুন করে কাজ করার সময় এসেছে।

ads

এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে।’ এ সময় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আজ সকালে কয়েক দিন মেয়াদি এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময় আমি আমার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এ তো কেবল শুরু। তবে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা ভালোভাবেই হয়েছে।’

এদিকে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার হামাস প্রথম দফায় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে ২৪ জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে ১৩ ইসরায়েলি নাগরিক, থাইল্যান্ডের ১০ নাগরিক ও ১ জন ফিলিপাইনের। ইসরায়েলও তাদের কারাগারে বন্দী থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে। চুক্তির আওতায় জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি চার দিন লড়াই বন্ধ রাখার ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তা-ও মানা হচ্ছে।

ads

জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাতে থাকে। গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। বিপরীতে ইসরায়েলে হামাসের হামলায়ও মারা যায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি।

ad

পাঠকের মতামত