পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন ড্রোনের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পানির নিচ দিয়ে চলতে সক্ষম পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দেশটি এই পরীক্ষা চালায়। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-এর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পরীক্ষার সময় উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিন ড্রোনটি পানির ৮০ থেকে ১৫০ মিটার গভীর দিয়ে প্রায় ৫৯ ঘণ্টা মহড়া চালায়। এ সময় বেশ কিছু অ-পারমাণবিক অস্ত্র এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার জবাবেই পিয়ংইয়ং এই পরীক্ষা চালাল বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, উত্তর কোরিয়া ওয়াশিংটন এবং সিউলকে তার ক্রমবর্ধমান বৈচিত্র্যময় পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দেখাচ্ছে। তবে সাবমেরিন ড্রোনটি এখনো অপারেশনের জন্য সক্ষম কিনা তা নিয়ে তারা সন্দিহান।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দেশ দুটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে এমন অভিযোগ এনে এ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত শনিবার এবং রোববার (১৮ ও ১৯ মার্চ) উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্রবাহিনী ‘যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং পাল্টা পারমাণবিক আক্রমণের সক্ষমতা’ জোরদার করতে এক মহড়া চালায়। এর শেষ দিনে কিম জং উনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশ এল। বিশ্লেষকদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকি দিতেই এ নির্দেশ দিয়েছেন কিম।
একটি কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়ায় ৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ৮০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। কিম নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।
মহড়া পরিদর্শন করতে গিয়ে কিম বলেন, ‘এ মহড়া সামরিক বাহিনীর প্রকৃত যুদ্ধের সক্ষমতাকে উন্নত করেছে এবং তা যেকোনো তাৎক্ষণিক এবং অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।’