41787

আকস্মিক ইউক্রেন সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া সফর করছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ইতোমধ্যে মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যেই এবার ইউক্রেন শুরু করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

সোমবার (২০ মার্চ) রাশিয়া সফর শুরু করেন চীনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন এ দুই নেতা। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন পুতিন ও জিনপিং।

ads

পেসকভ বলেন, দুই নেতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। দুজন বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন। আলোচনা হয়েছে বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়েও। তবে এসব আলোচনা নিয়ে বিস্তারিত জানাননি পেসকভ। বলেছেন, দুই দেশের পক্ষ থেকে পুতিন–জিনপিংয়ের বৈঠক নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে।

আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানাতে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানী কিয়েভে পৌঁছান জাপানি প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

ads

আগের দিন সোমবার (২০ মার্চ) ভারতে ছিলেন কিশিদা। এদিন নয়াদিল্লিতে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জি৭ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ তিনি। সেখান থেকেই পোল্যান্ড হয়ে ট্রেনে করে ইউক্রেনে যান তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জাপানের কোনো প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ কবলিত কোনো দেশ বা অঞ্চল ভ্রমণ করছেন।

ধনী দেশগুলোর জোট জি৭-এর এশীয় সদস্য দেশের নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসাবেও ফুমিও কিশিদার সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জেলেনস্কির আমন্ত্রণেই কিশিদার ইউক্রেন সফর। দুইদিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাপানে ফিরবেন তিনি।

গত বছর ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে আসছে জাপান। সেই সঙ্গে জোরালোভাবে রাশিয়ার অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়া যুদ্ধ কবলিত দেশটিকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে। গত মাসেই জাপান ইউক্রেনের জন্য ৫শ’ কোটি ডলারেরও বেশি মানবিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বর্তমান বিশ্বে চীনের প্রভাব বেড়েই চলেছে। এরই প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। বিশেষ করে নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা জোরদার করছে দেশ ‍দুটি।

ad

পাঠকের মতামত