নেপালের নতুন রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পাওদেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাম চন্দ্র পাওদেল নেপালের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট এবং প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যরা বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) রাম চন্দ্রকে দেশের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করেন।

ভোটযুদ্ধে পাউদেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সুভাষ চন্দ্র নেমবাংকে। তিনি পার্লামেন্টের বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল- ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্টের (সিপিএন-ইউএমএল) ভাইস চেয়ারম্যান। তাকে ১৮ হাজার ২৮৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন রাম চন্দ্র।

রাজধানী কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকায় অবস্থিত নেপালের পার্লামেন্ট ভবন। এদিন সকাল ১০টায় সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে রাম চন্দ্রকে দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট ও এনডিটিভির।

নেপালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যরা ভোট দিতে পারেন। কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টে সদস্য ৩১৩ জন এবং সাতটি প্রদেশের আইনসভার সম্মিলিত সদস্য ৫১৮ জন। দেশটির সংবিধানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ৫২ হাজার ৭৮৬টি ভোট বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি ভোটের মান ৭৯ ভোট এবং প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের একটি ভোটের মান ৪৮টি ভোটের সমান।

এদিন পার্লামেন্ট ভবনে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের জন্য পৃথক বুথ করা হয়েছিল। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, রাম চন্দ্র পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮০২টি ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুভাষ চন্দ্র পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫১৮টি ভোট। তবে এর মধ্যে গণনা করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৩২০টি ভোট, বাকি তিন হাজার ৪৬৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।

নেপালের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও আইনসভাগুলোতে বর্তমানে নয়টি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতা রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সিপিএন-ইউএমএল ও রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি (আরপিপি) ব্যতীত সব দলীয় আইনপ্রণেতা রাম চন্দ্র পাওদেলকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে নিজ দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন পেয়েছেন সুভাষ চন্দ্র।