41130

নাটকের মাধ্যমে “কুমিল্লা সারথি থিয়েটার” এর ভারত জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংবিত্তি রাজ্য নাট্য মেলার ১০ম বছর পূর্তি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে এবার নিজস্ব চারটি প্রযোজনার মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ভারত যৌথ ভাবে “বৃদ্ধাশ্রম” নাটক মঞ্চায়ন।

কিশোর দত্তের (ভারত) রচনায় এ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন এজহারুল হক মিজান (বাংলাদেশ)। নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন এজহারুল হক মিজান।

ads

অভিনয় এবং নাট্য নির্দেশনার মাধ্যমে ভারতের ২৪ পরগনায় সর্ব মহলে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এজহারুল হক মিজান। বাংলাদেশকে সম্মানীত করে তিনি সম্মাননা পেয়ে দেশে ফিরেছেন।

ads

আরো জানা যায় যে, তার ছেলে রাদি রহমান কলকাতার একটি নাট্য সংগঠনের হয়ে “চাল চাই” নাটকে দুর্দান্ত অভিনয় করে ভারতের মাটিতে নিজেকে স্বীয় পরিচয় তুলে ধরে শিশু নাট্য শিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।

যাদবপুর দলমাদল নাট্য গোষ্ঠি কলকাতার সভাপতি তাকে সার্টিফিকেট ও ২৪ পরগোনার গোবরাপুর সংবিত্তি নাট্য দলের পক্ষ থেকে মেডেল দিয়ে তাকে সম্মানীত করেন।

গত ৩,৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারী শুক্র, শনি ও রবিবার বর্ণ পরিচয় মিলনায়তনে ভারতের বিভিন্ন জেলার নাট্য দলের নাটকও পরিবেশিত হয়েছে।

“বৃদ্ধাশ্রম” নাটকটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন এজহারুল হক মিজান। তিনি আমাদের শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত অঞ্চল, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সমন্বয়কারী।

উৎসবের প্রথম দিন বাচিক বিকাশ কেন্দ্র কুমিল্লা সভাপতি রাইয়ানুল জান্নাত রোজা গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় পরিবেশিত হয়েছে “ঠেকাও মনুষ্যত্তের মরন।”

বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ১৯ নং ওয়ার্ড কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নেউরা সৈয়দপুর গ্রামের সাংস্কৃতিক পরিবার বাবা, মা ও ছেলে পুরো কলকাতায় চষে বেড়িয়েছেন নাটক ও আবৃত্তি নিয়ে।

এজহারুল হক মিজান ২৪ পরগোনা ভারতের গোবর ডাঙা শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ও সেলিম আল-দিন’ বিষয়ের উপর ক্লাস নেন। গোবরডাঙ্গা শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন এজহারুল হক মিজান।

মিজান ১৯৮৭ সালে জেলা শিল্পকালায় নাট্য প্রশিক্ষনে ভর্তি হন এবং ১৯৮৮ সালে প্রতিবিম্ব থিয়েটারে যুক্ত হন।তিনি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের নাট্যকার প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহন করেন এবং নাট্যাচার্য সেলিম আল-দিন এর হাত ধরে নাটক লেখা শুরু করেন। তার লেখা নাটকের বই দ্বি – মঞ্চায়ন ১৯১৩ সালে জনান্তিক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়।

যেমন অভিনেতা হিসেবে দিগন্ত উড়াল আনন্দ অনুভব করছেন তেমনি নাটক লিখে এবং পরিচালনা করে কুড়িয়েছেন অনেক সম্মাননা। ১৯৯১ সালে নিজের এলাকায় পথিকৃৎ গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতাা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ৭ দিন ব্যাপী গ্রমীন মেলার চমৎকার আয়োজনেও ছিল তার অসামান্য অবদান।

১৯৯৫ সালে অধুনা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং অনেক নাটক তিনি পরিচালনা করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নাট্য প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন নাট্য আন্দোলনকে।

একসময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে গনশিক্ষা ও অন্যান্য গনসচেতনতামূলক নাটিকায় অভিনয় করেন। স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ও পূর্নদৈর্ঘ চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয়ের স্বাক্ষর রাখেন।

ad

পাঠকের মতামত