‘মোদিমন্ত্র সারা বিশ্বে অনুরণিত হচ্ছে’ ! দাবি যোগীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘মোদি হ্যায়, তো মুমকিন হ্যায় !’ এই ‘মন্ত্র’ এখন আর শুধুমাত্র ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ নেই। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার এমনটাই দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর মতে, মোদি ছিলেন বলেই চলতি বছর জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে ভারত।

এই প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ বলেন, “যখনই পৃথিবীতে কোনও সংকট ঘনিয়ে আসে, তখনই সকলে অনেক আশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে তাকান। ২০১৯ সালে একটি স্লোগান তৈরি করা হয়েছিল। ‘মোদি হ্যায়, তো মুমকিন হ্যায়’। আজ আর এটি শুধুমাত্র ভারতের স্লোগান নয়। সারা বিশ্বের মন্ত্র ! ভারত যে জি-২০ সম্মেলন আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে, মোদিজির জন্যই তা সম্ভব হয়েছে।

লখনউয়ের ইন্দিরা গান্ধি প্রতিষ্ঠানে এদিন একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে, এই বৈঠক কোনও সরকারি কর্মসূচি নয়। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বৈঠক চলবে রবিবার দিনভর। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই ভাষণ দেন যোগী। বলেন, “জি-২০ এর সঙ্গে যাতে প্রত্যেক ভারতীয় যুক্ত হতে পারেন, মোদিজি সেই কাজ করে দেখিয়েছেন। জি-২০ সম্মেলনের ১১টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগরা, লখনউ, বারাণসী এবং গৌতমবুদ্ধ নগরে।”

এদিকে, আগামী ১০ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট (বিশ্ব উদ্যোগপতি সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে যোগী বলেন, নতুন উদ্যোগের গন্তব্যস্থলে পরিণত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ ৷ তাই বিজেপির প্রত্যেক সদস্যকে এগিয়ে আসতে হবে। যোগীর কথায়, “জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রত্যেক বিজেপি কর্মীকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের সামনে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। “এদিনের এই মঞ্চ থেকে রাজ্যের পূর্বতন সরকারগুলিরও সমালোচনা করেন যোগী আদিত্যনাথ৷ বলেন, “গতকাল প্রয়াগরাজে আপনারা নিশ্চয় মৌনি অমাবস্য়ার স্নানের সাক্ষী থেকেছেন ৷ ২ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী সেখানে গিয়েছিলেন। আগের সরকার যদি এই জায়গার সম্ভাবনা অনুভব করতে পারত, তাহলে আজ আমাদের অন্যের দ্বারস্থ হতে হত না।”

সুত্র: ইটিভি ভারত