বর্বরতার সীমা ছাড়িয়েছে গ্রিস: এরদোয়ান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অভিবাসীদের প্রতি বৈরি মনোভাব পোষণ করায় গ্রিসের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, দেশটি বর্বরতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ইস্তাম্বুলে ইসলামী বিশ্বের সাংবিধানিক বিচার বিভাগের সম্মেলনে শুক্রবার তিনি এই সমালোচনা করেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এরদোয়ান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গ্রিসের এই বর্বরতার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না পশ্চিমা দেশগুলো। সীমান্তে অভিবাসীদের প্রতি হৃদয়বিদারক চিত্র এবং আশ্রয় শিবিরের প্রতি চরম ঔদাসীন্য গ্রিসকে নাৎসিদের মতো বর্বর করে তুলেছে। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের সযতনে প্রশ্রয় দেওয়ার নামে তারা সন্ত্রাসীদের লালন করছে।
বিষয়গুলোর ব্যাপারে পশ্চিমের উদাসীনতার সমালোচনা করে এরদোয়ান বলেন, পশ্চিমা দেশ এবং কিছু প্রতিষ্ঠান সিরিয়া, ইরাক এবং আফ্রিকা থেকে অসহায় অভিবাসীদের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে ও ফেটোর সদস্যদের প্রতি দয়াশীল আচরণ করছে। এই আচরণ তুরস্ককে অপমানের শামিল।
তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে প্রকৃতপক্ষে সিরিয়া, ইরাক এবং তুরস্কে হামলার জন্য প্রতিবছর পশ্চিমা দেশগুলো থেকে অনুদান দেওয়া হয়। পিকেকে তা সংগ্রহ করে এবং নিরপরাধ মানুষ হত্যায় ব্যবহার করে, অথচ বিশ্বনেতারা তাদের ব্যাপারে কোনো কথা বলছে না।
সম্মেলনে সিরিয়ার বিষয়েও কথা বলেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, সিরিয়া সংকটে ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বনেতারা সিরিয়ায় কোনো মানবিকতায় নজর দেন না। আবার যখন অসহায় সিরিয়ান শরণার্থীরা তাদের দেশে প্রবেশের চেষ্টা করে, তখনও তাদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিবাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে কখনও ভাল কিছু আশা করা যায় না।
এরদোয়ান যুক্তি দেন, যখন পশ্চিমা দেশগুলোর নিজস্ব সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার কথা আসে তখন তারা সীমান্ত পেরিয়ে অপর দেশের মানুষকে হত্যা করতে দ্বিধা করে না। অথচ অভিবাসীদের ব্যাপারে তারা কতো নিষ্ঠুর। এটা ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে আদিম উদাহরণ।