39235

ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে বাংলাদেশ বিশেষ স্থানে আছে: মুর্মু

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বাংলাদেশ ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি আগামী দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ওপরও জোর দিয়েছেন।

ভারতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান নিজ পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে মুর্মু এসব কথা বলেন। মুস্তাফিজুর রহমান সোমবার তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।

ads

নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ঢাকায় ভারতের ব্যাপক ভিসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের বন্ধনে আবদ্ধ এবং অভিন্ন ত্যাগের মাধ্যমে এ অনন্য বন্ধন গড়ে উঠেছে।’

এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বছর যৌথভাবে উদযাপন করার কথা স্মরণ করেন মুর্মু।

ads

তিনি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গভীর রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লীতে এবং পরে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।

বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার পরিচয়পত্র পেশ করার সুযোগ লাভের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের নৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা ১৯৭১ সালের যুদ্ধক্ষেত্রেই সূচিত হয়েছে।’

হাইকমিশনার বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং এটিকে ‘প্রতিবেশী সম্পর্কের’ মডেল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রপতিকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি এ সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারিত ও সুসংহত করার চেষ্টা করবেন।

এ প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত হাইকমিশনার পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিরাম প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

মুস্তাফিজুর রহমান ২০২০-’২২ সাল পর্যন্ত জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তর, ডব্লিউটিও ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করার পরে ভারতে তার কার্যভার গ্রহণ করেন। তিনি সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত