39232

বহুল প্রতীক্ষিত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ঘোষণা কানাডার

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ঘিরে নিজেদের বহুল প্রতীক্ষিত কৌশল ঘোষণা করেছে কানাডা। নতুন নীতিতে চীনকে মোকাবিলার পাশাপাশি এ অঞ্চলে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে গুরত্বারোপ করা হয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাণিজ্য ইস্যুতে বেইজিংয়ের সঙ্গে কাজ করার কথাও উল্লেখ করেছে কানাডা সরকার।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, রোববার (২৭ নভেম্বর) ২৬ পৃষ্ঠার এক নথিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিজেদের কৌশলগুলো কী হবে, তার বিস্তারিত তুলে ধরে কানাডা সরকার। নতুন নীতিতে, মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় বিনিয়োগনীতি কঠোরের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ যাতে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা কেড়ে নিতে না পারে, তা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ads

একইসঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন নীতিতে চীনকে ক্রমবর্ধমান বাধা সৃষ্টিকারী বৈশ্বিক শক্তি উল্লেখ করে কানাডা জানায়, এ অঞ্চলের অন্য দেশেও হস্তক্ষেপ করছে বেইজিং।

কানাডার বহুল প্রতীক্ষিত এ পরিকল্পনা মূলত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪০টি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার রূপরেখা। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আর্থিক পরিমাণ ৫০ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়েছে। যদিও এতে মনোযোগ দেয়া হয়েছে চীনের ওপর। তবে দেশটিকে মোকাবিলার কথা বলা হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও বাণিজ্য ইস্যুতে বেইজিংয়ের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে কানাডা।

ads

২০১৮ সালে কানাডার পুলিশ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজির এক নির্বাহী কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর চীন-কানাডা সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দুই কানাডীয় নাগরিককে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করে বেইজিং। গত বছর দুই দেশে গ্রেফতার হওয়া তিনজন মুক্ত হলেও দেশ দুটির সম্পর্কের টানাপোড়েন কাটেনি।

এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ঘিরে কানাডার এই নতুন পরিকল্পনাকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা, জলবায়ুর পাশাপাশি অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

ad

পাঠকের মতামত