39159

এমবাপ্পের জোড়া গোলে সবার আগে শেষ ষোলতে ফ্রান্স

স্পোর্টস ডেস্ক: স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ম্যাচটি শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে খেলেছে ফ্রান্স। তবু প্রথমার্ধের পুরোটা সময় তুমুল চেষ্টা করেও ডেনমার্কের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি ফ্রান্স। হুটহাট শট নিতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই নিজেকে পাল্টে ফেললেন পিএসজি তারকা। ঠাণ্ডা মাথায় ডেনমার্কের জালে দুইবার বল পাঠিয়ে ফ্রান্সকে কাতার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই সাথে নতুন রেকর্ড এনে দিয়েছেন দলের নামে। বিশ্বের পঞ্চম দল হিসেবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়েও ফ্রান্স পরবর্তী বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে। আজ ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। যার ফলে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স।

অবশ্য গোলের দেখা প্রথমার্ধেই পেতে পারতো ফ্রান্স। অলিভিয়ের জিরু ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে প্রথমার্ধেই একাধিক সুযোগ তৈরি করে দেন উসমান দেম্বেল। দশম মিনিটে গোলের প্রথম সহজ সুযোগটি পান জিরু। গোলসংখ্যায় থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা এই ফরোয়ার্ডকে বল পেয়েছিলেন গোলমুখের সামনে। কিন্তু বলে পায়ে লাগাতে পারেননি তিনি। পরের ভালো সুযোগটি আসে মিডফিল্ডার আদ্রিয়াঁ রাবিওর সামনে। ২২তম মিনিটে ডান দিক থেকে ডি বক্সে ক্রস ফেলেন দেম্বেল। জায়গামতো থাকা রাবিও হেডও নেন ঠিকঠাকমতো। তবে এতো আক্রমণেও গোলের দেখা পায়নি ফ্রান্স। বলা যায় গোল উৎসবে মাততে দেননি ডেনিশ গোলকিপার।

ads

এ দিন ডেনিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্মাইকেল যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন ফ্রান্সের সামনে। তার দূর্দান্ত সব সেইভে প্রথমার্ধে গোলের মুখ দেখতে পায়নি ফ্রান্স। প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ডেনমার্কও। দুটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে না পারলে ০ – ০ স্কোরকার্ডে বিরতিতে যেতে হয় উভয় দলকে।

বিরতির পর ডেনমার্ক নিজেদের খানিকটা ফিরে পেলেও আধিপত্য ধরে রেখেই খেলতে থাকে ফ্রান্স। এক মুহূর্তের জন্যও থামেনি আক্রমণের ধাঁচ। তবে ডেনমার্ক দূর্গের পাহারাদার ক্যাসপার স্মাইকেলের কাছেই বারবার থেমে যাচ্ছিল ফ্রান্সের আক্রমণ। ফল আসে ৬০ মিনিটে। থিও হার্নান্দেজের এসিস্ট থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফ্রান্স ১-০ ব্যবধানের লিড নেয়।

ads

ফ্রান্সের এ গোল আনন্দ দীর্ঘ হতে দেয়নি ডেনমার্ক। গোল হজমের পর যেন জেগে ওঠে ডেনমার্ক। খেলায় আনে গতিও। সেই সূত্রেই ৬৮ মিনিটে চলে আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের কর্নার থেকে আসা বল ইওয়াকিম অ্যান্ডারসন হয়ে চলে যায় আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিনসেনের সামনে। মাত্র ৬ মিনিট পরেই আন্দ্রেস ক্রিশ্চিনসেনের গোলে সমতায় ফেরে ডেনমার্ক। স্কোরলাইন তখন ১-১ সমতায়। একটা সময় মনেই হচ্ছিল, হয়তো ড্র নিয়েই শেষ হবে ম্যাচ। তবে তা আর হতে দেয়নি এমবাপ্পে। নিজের পরিশ্রম বৃথা যেতে দেননি এই উইঙ্গার।

৮৬ মিনিটে আন্তনিও গ্রিজমানের এসিস্ট থেকে গোল করে ফের দলকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সের হয়ে শেষ ১২ ম্যাচে এটি তার ১৪তম গোল। সেই সাথে ম্যাচে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। এমবাপ্পের জোড়া গোলেই ২-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করে ফ্রান্স। এদিকে জোড়া গোল পাওয়ায় কাতার বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোল সংগ্রাহক হয়ে আছেন এমবাপ্পে। তবে তার সাথে আছেন ইকুয়েডরের এনার ভেলেন্সিয়াও।

ad

পাঠকের মতামত