38607

আইআইইউসির বিশেষ সম্মাননা পেলো আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন

নিউজ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হলো দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনকে।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও অবকাঠামোগতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেওয়া হয় এ উন্নয়ন সংস্থাকে।

ads

সম্প্রতি আইআইইউসি) ২৫ বছর পূর্তি উৎসব ও ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত বর্নাঢ্য আয়োজনে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিনের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন আইআইইউসি ট্রাস্টের জেনারেল সদস্য, আলজেরিয়ান পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার এবং ওআইসি’র ফিলিস্তিন পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইউসুফ আদজিসা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মছরুরুল মওলা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরসহ আইআইইউসি’র বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ।

ads

সম্মাননা প্রদানকালে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমান, তুরস্ক, মিশর, ভারত, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০ জন সচিব, মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, স্পিকার, সরকারী-বেসরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন ছিলেন আইআইইউসি’র জেনারেল অ্যাসেম্বেলির সভাপতি ও মিশরের ইসলামিক কাউন্সিল ফর দাওয়াহ অ্যান্ড রিলিফের জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আব্দুল আজিজ আল-মুসলিহ্, আলজেরিয়া’র ডেপুটি স্পিকার ইউসুফ আজিচ্ছা, মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ রাশেদ আহমেদ, সোমালিয়া’র ডেপুটি এডুকেশন মিনিস্টার ইঞ্জিনিয়ার আব্দি ফাতাহ ইসাক মোহাম্মদ, কুয়েতের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশন (আইআইসিও) ডিরেক্টর জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার বদর সৌদ আল সুমাইত, মিশরের রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স নূর আল দীন মুহাম্মদ আব্দুল ওয়ারিস, আন্তর্জাতিক ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স প্রফেসর ড. আকরাম নদভী, সৌদি আরবের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স ড. আহমেদ আব্দুল্লাহ সুরুর আল সাব্বান, সৌদি আরবের এডুকেশন বিভাগের ডিরেক্টর ড. আব্দুল আজিজ আল ফালেহ, মিশরের সাবেক মন্ত্রী প্রফেসর ড. সামী মুহাম্মদ আস শরীফ, সৌদি আরবের উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর ড. আহমেদ আল বান্নানি, তুরস্কের এডুরেস একাডেমির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইয়াকুব সিভিলেক এবং নেপালের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মি. রেজওয়ান আনসারী, ইসলামিক স্কলার শায়খ আকরাম নদভী, কসোভোর রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. বকর ইসমাঈল, আইআইইউসির সাবেক ছাত্র সোমালিয়ার শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দে ফাতেহ ইশক মুহাম্মদ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার বাদের সৌদ আস সুমাইত, মিশরের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. সামী মোহাম্মদ আল শরীফ, কিং আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর সউদ সুলামীসহ আরব বিশ্বের প্রায় অর্ধশত অতিথি।

আইআইইউসি’র বিশেষ সম্মাননা পেয়ে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন বলেন, ‘আইআইইউসি যে অভিযাত্রা শুরু করেছিলো সে অভিযাত্রার সারথী আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনও। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমি আইআইইউসি’র উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি। আজকের এ সম্মাননা আমি আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত সকলের প্রতি এবং ফাউন্ডেশনের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশী-বিদেশী দাতা-সহযোগী সংস্থার প্রতি উৎসর্গ করলাম।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী কর্তৃক ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন। তাঁর পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটি ইতোমধ্যে মানবিক সেবাকার্যক্রমে দেশবাসীর নজর কেড়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত এই সংগঠন সৌদি আরব, কুয়েত, ওআইসি, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আলজেরিয়ারসহ বিভিন্ন দাতাসংস্থা ও এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে মানবিক সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশ, জাতি, ধর্ম ও মানবতার সেবায় শ্রেষ্ঠত্ব ও নেতৃত্ব অর্জনের লক্ষে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনটি ২০০০ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন পায়। একই বছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোরও নিবন্ধন লাভ করে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এক হাজারের অধিক মসজিদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি ভবন, ৪ হাজার গভীর-অগভীর নলকূপ স্থাপন, বিভিন্ন মসজিদের এক হাজার অজুখানা নির্মাণ, গরিব ও অসহায়দের জন্য স্থায়ী ২৫০টি ঘর, ৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্লিনিক নির্মাণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত গৃহহীন মানুষের জন্য ৫টি পূনর্বাসন পল্লীর মত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তৈরি করে দেশজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন।

ad

পাঠকের মতামত