35283

চীনের শুল্ক কমানোর কথা ভাবছেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০১৮ সালে বাণিজ্য যুদ্ধের শুরুতে চীনের উপর আরোপিত কিছু শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে পারেন। এই পদক্ষেপের ফলেপ্রশাসনকে আমেরিকান ভোক্তাদের উপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমিয়ে আনতে কাজ করছেতা দাবি করার সুযোগ মদেবে যদিও এর প্রভাব খুব সামান্যই হতে পারে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ব্লুমবার্গের ৪ জুলাইয়ের সপ্তাহান্তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রশাসন এখনও নিজেদের মাঝেই বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করছে। আশা করা হচ্ছে যে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগ নেই এমন কিছু পণ্যের উপর থেকে অবিলম্বে শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে এবং প্রশাসন এমন একটি প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করবে যা ব্যবসাগুলিকে নির্দিষ্ট পণ্যগুলোর জন্য শুল্ক”মুক্ত ” করতে আবেদন করার অনুমতি দেয় এবং সেগুলি থেকে এক একটি করে শুল্ক তুলে নিতে পারবে।

ads

পলিটিকো জানিয়েছে, প্রশাসন অবিলম্বে প্রায় ১হাজার কোটি ডলারপরিমাণ শুল্ক তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে। যদি এটা সঠিক হয় তবে তা হবে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় চীনের পণ্যের উপর আরোপিত ৩৭ হাজার কোটি ডলারের শুল্কের খুব একটি ভগ্নাংশমাত্র।

বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালের শুরুর দিকে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমেরিকান ভোক্তাদের উপর বাস্তবে কর হিসাবে কাজ করে এমন শুল্ক মোকাবেলার জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে চাপের মধ্যে রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বেশ কয়েকটি সরকারীবিবৃতিতে প্রশাসন আরোপিত শুল্কগুলো পুনর্বিবেচনা করার বিষয়টি বিবেচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে প্রবক্তারা এখন পর্যন্ত একটি বাস্তবসম্মত প্রস্তাবের জন্য বৃথা অপেক্ষা করেছেন।

ads

গত মাসে কংগ্রেসের সামনে দেওয়া সাক্ষ্যে ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শুল্ক যা এই প্রশাসন উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে তা আমি মনে করি সত্যিই আমাদের কৌশলগত স্বার্থ চরিতার্থ করার কথা ভেবে করা হয়নি।” ইয়েলেন আরও বলেন, “আমরা খতিয়ে দেখছি এবং এই শুল্কগুলিকেএমনভাবে পুনরায় ব্যবহার করার চেষ্টা করছি যা আরও কৌশলগত হবে।”

ট্রেজারি বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইয়েলেন এবং চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ মঙ্গলবার এক ভিডিও কনফারেন্সের সময় শুল্ক নিয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শনিবার এশিয়া সফরের সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সাথে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং সেখানেও আলোচ্য বিষয়ের মধ্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও থাকতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত