34859

ইইউ সদস্য পদপ্রার্থী হওয়ার পথে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বৃহস্পতিবারেই ইউক্রেনকে সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে একজন প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারে বলে জানিয়েছেন ইইউ মন্ত্রী ও কূটনীতিকরা।

এই আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা প্রতীকী হলেও এটি রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মনোবল বাড়ানোর মত সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করছেন তারা। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তার চারদিন পর ইইউ-র সদস্যপদ পেতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে ইউক্রেন। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভন ডার লিয়েন গত সপ্তাহে ইইউ’র সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ইউক্রেইনের পক্ষে সুপারিশ করেছেন। দেশটিকে ইইউ সদস্যপদ পেতে আরও কিছু ধাপ পেরোতে হবে।

ads

প্রথমেই ভন ডার লিয়েনের সুপারিশে ইইউ এর ২৭ টি সদস্যদেশের স্বাক্ষর লাগবে। এ নিয়ে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার ব্রাসেলসে জরুরি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে দেশগুলোর নেতাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে ইইউ নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। ২৭ সদস্যরাষ্ট্রের কেউই ইউক্রেনের বিষয়ে আপত্তি জানায়নি।

লুক্সেমবার্গের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী জেন অ্যাসেলবর্ন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা সেই বিন্দু ধরে কাজ করছি যেখানে আমরা (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনকে বলি, ইউক্রেন ইউরোপের। যে মূল্যবোধগুলি ইউক্রেন রক্ষা করে আমরাও তা রক্ষা করব।”

ads

ইউক্রেনের পাশপাশি মলডোভারও আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ সদস্যপদের জন্য প্রার্থিতা প্রায় নিশ্চিত বলে জানান কূটনীতিকরা। আরেক দেশ জর্জিয়াকেও অবশ্যই সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশেষ করে সে দেশের রাজনীতিতে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ইউক্রেনকে নিয়ে ইইউর পূর্ব ইউরোপীয় সদস্যদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে। তবে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলেন, ‘‘এটা খুব ভালো এবং এটা এমন কিছু যেটা ডেনমার্ক পূর্ণহৃদয় দিয়ে সমর্থন করে। আমরা ইউক্রেনকে তাদের ইউরোপীয় হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে চাই।”

ইউক্রেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা দেয়া হলেও দেশটির ইইউ-র পূর্ণ সদস্যপদ পেতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। ইউক্রেনের ইইউতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছার বিষয়ে গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনের ইইউয়ে যোগ দেয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে ‘আপত্তি জানানোর কোনো কারণ’ তার কাছে নেই।

তবে তার মুখপাত্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, (ইউক্রেনের ইইউতে যোগ দেয়ার) দিকে যেকোনও পদক্ষেপ সেদিকে মস্কোর ‘মনযোগ বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকলেই ইইউর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার বিষয়ে ইউরোপে আলোচনার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি।”

ad

পাঠকের মতামত