34708

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী রিফাত

নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহসানুল হক রিফাত বলেন তিনি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

আজ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজয়ের কোন প্রশ্নই আসে না। কারণ বিগত প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়ন এবং কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লার উন্নয়নে ব্যর্থতাই আমার জয় নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া প্রচারণায় গিয়ে এলাকার ভোটারদের কাছ থেকে আমি অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, আমি যা চিন্তা করেছি তার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া পেয়েছি। আমার বিশ্বাস নৌকার প্রতি মানুষের যে আস্থা আগামীকাল এই কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ভোটের মাধ্যমে তারই প্রতিফলন ঘটবে।

ads

আরফানুল হক রিফাত বলেন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সঙ্ঘবদ্ধ এবং সংগঠিত। কুমিল্লা আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন ধরনের বিরোধ নেই।

কুমিল্লার ভোটাররা আপনাকে কেন ভোট দেবে এবং সাবেক মেয়রের কি ব্যর্থতা রয়েছে বলে আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাবেক মেয়রের সবকিছুতেই ব্যর্থতা শুধুমাত্র দুর্নীতিতে সফলতা রয়েছে। সাবেক মেয়রের ব্যর্থতার কারণে কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়, এজন্যই তারা আমাকে বেছে নেবেন।

ads

তিনি বলেন, কুমিল্লার এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহার নির্বাচন কমিশনের কোনো আইন বা বিধি বিধান লংঘন করেননি। নির্বাচনে তিনি কোন পথসভা, উঠান বৈঠক কিংবা অন্যকোন সভা-সমাবেশে নৌকার পক্ষে ভোট চাননি।

রিফাত বলেন, ‘কুমিল্লায় বিগত প্রায় ১৭/১৮ দিনের নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে একটিও সংঘাত বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আগামী দিনেও এই ধরনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আমি আশা করি। তাদের একটি অভিযোগ পোস্টার ছেরার বিষয়ে বলেন বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমার নিজের পোস্টারও অনেক জায়গায় ছিড়ে মাটিতে পড়ে আছে। আমি তো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি, আসলে তারা তো নালিশ পার্টির লোক তাই নালিশ দেওয়াই তাদের কাজ।’

রিফাত বলেন, ‘ছোট্ট শহর কুমিল্লা এই কুমিল্লা আমরা সকলেই মিলেমিশে থাকি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলেই একজনের সাথে আরেকজনের দেখা হয়, কুশলবিনিময় হয়। সুতরাং আমাদের মধ্যে নোংরামির পরিবেশ তৈরি হোক এটা আমি চাইনা।’

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বহিরাগত সম্পর্কে যে অভিযোগ রয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বহিরাগত যাদের বলা হচ্ছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। কুমিল্লার আশপাশের উপজেলা এবং ইউনিয়নের সব নেতাকর্মীরা এসে নৌকার পক্ষে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ভোট চেয়েছেন। তারা নির্বাচনী প্রচারণার জন্য, আমার পক্ষে ভোট চাওয়ার জন্য কুমিল্লা এসেছিলেন এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারা ছিলেন এবং ওই সময় পার হওয়ার আগেই তারা শহর ছেড়ে চলে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। দলের অঙ্গ সংগঠন যেমন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে কর্মী রয়েছে। আমাদের ২৭ টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২৭টি ওয়ার্ডের একটি ওয়ার্ডে বিপুল সংখ্যক কর্মী রয়েছে। তারা যদি কেন্দ্রভিত্তিক নিজ নিজ কেন্দ্রে অবস্থান করে তাহলে একটা কেন্দ্রে এক দেড় হাজার কর্মী সমাবেশ ঘটবে। তাহলে আমি কেন বাইরের লোক এখানে এনে জড়ো করব, কি প্রয়োজন।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রিফাত বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কোন ধরনের সংশয় বা শঙ্কা নেই।

আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলবে।

ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সিটি কর্পোরেশনের ২৭ ওয়ার্ডের সব কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৩ হাজার ৬০৮ জন সদস্য থাকবে। সিটির প্রবেশপথে ৭৫টি তল্লাশি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৩০টি টিম, ১০৫ কেন্দ্রে ১ হাজার ২৬০ আনসার সদস্য ও এপিবিএনের ৫০ জন সদস্য নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।

নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭ ওয়ার্ডে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার রয়েছে। মোট কেন্দ্র ১০৫টি। এবারের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীসহ মোট ৫ জন মেয়র প্রার্থী। ১০৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩৬ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত