১৭ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
নিউজ ডেস্কঃ ২০০৬ সালের ২৮ মে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ১৬ বছর শেষে ১৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল শনিবার। শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও কবুতর উড়ানোর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অংশ নিতে দেখা যায়নি শাখা ছাত্রলীগ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (২৮ মে) সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈনের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যান্তরীণ ও সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তলন, কবুতর অবমুক্ত করণ ও কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।
এসময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২’ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, নেতৃত্ব ও উচ্চচিন্তার হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমরা জাকঁজমকপূর্ণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে আমরা জাঁকজমক আয়োজন করতে পারিনি। আমাদের ভাবনায় কোনো ঘাটতি ছিল না। আজকে যারা উপস্থিত হয়েছেন এবং যারা হতে পারেননি সবাইকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২ এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাজ হচ্ছে একাডেমিক ও গবেষণামূলক কাজ করা। অমুকের চামড়া তুলে নিবো আমরা এসবের পিছনে সময় নষ্ট না করে সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে। আমাদের কাজ হবে কিভাবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়াতে পারি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। আমি প্রথমদিন থেকে বলেছি এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা যেন দেশের মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পর্যায়ে যেতে পারি সে চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, আমি দেখি গুটিকয়েক শিক্ষক-শিক্ষার্থী কাঁদা ছুড়াছুড়ি করে। আমরা সে কাঁদা ছুড়াছুড়িতে যে সময় নষ্ট করি তা যদি শিক্ষায়, গবেষণার পেছনে ব্যয় করি তাহলে নিউটন যে সূত্র দিয়েছিল তার বিকল্প দু’টি সূত্র আবিষ্কার করে ফেলতাম। আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষক আছে, শিক্ষার্থীরা আছে, যারা কাজ করতে পারেনা।
তিনি আরও বলেন, এখানে শিক্ষার মান হবে বিশ্বমানের। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাডেমিক অনুশীলন করবে। জ্ঞান নিয়ে চর্চা করবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমি বলব না কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘজীবী হোক। আমি বলব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাক।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।