29048

মসজিদে হারাম ও নববীতে ২০০ নারী নিয়োগ

নিউজ ডেস্ক: রক্ষণশীল সৌদি আরবের সমাজে নারীদের উপস্থিতি বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ অর্থাৎ মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদের নববীর বিভিন্ন দায়িত্বে ২০০ জনেরও বেশি নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রিয়াদ আন্তর্জাতিক বইমেলার শেষদিনে হারামাইন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের সময় মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম এবং পবিত্র দুই মসজিদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দ্য জেনারেল প্রেসিডেন্সি অফ হারামাইনের সভাপতি ড. আবদুল রহমান আস সুদাইস স্থানীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এই তথ্য দেন।

ads

এ সময় তিনি মসজিদের বিভিন্ন বিষয় পরিচালনায় নারীদের ভূমিকা ও অংশগ্রহণ নিয়েও কথা বলেন এবং কর্মরত নারীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের রাজত্বে নারীদের একটি পরিষ্কার পথ রয়েছে এবং আমরা আমাদের বোনদের মধ্যে যারা ডক্টরেট এবং মাস্টার্স ডিগ্রিধারী তাদের একটি সুযোগ দিয়েছি।’

ads

‘নারীর ক্ষমতায়ন এবং তরুণদের উৎসাহিত করতে সৌদি ভিশন ২০৩০ অর্জনে সহায়তার জন্য আমরা আমাদের নেতাদের পাশে আছি। নারীরা দ্য জেনারেল প্রেসিডেন্সি অফ হারামাইনের বিভিন্ন পদে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। গণমাধ্যমের উচিৎ এই সাফল্যের প্রশংসা করা এবং বিশ্বের সামনে তা তুলে ধরা।’

কাবার প্রধান ইমাম আরও বলেন, ‘সৌদি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নারীরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। সৌদি রাজতন্ত্র এবার তার ভিশন ২০৩০ এর মাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধ এবং আমাদের জাতীয় পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

গত আগস্ট মাসে আস সুদাইস ড. আল আনাউদ আল আবাউদ এবং ড. ফাতিমা আল রাশাউদকে তার অফিসে সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন।

এছাড়া হারামাইনের বিভিন্ন সিনিয়র পদেও অনেক নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা নারীদের তাদের ন্যায্য ও পর্যাপ্ত স্থান দিতে চাই, যেমনটা আমাদের ধর্ম আমাদের আদেশ দিয়েছে এবং আমাদের নেতারাও যার প্রয়োগ করেছিলেন।’

রিয়াদের বইমেলা মধ্যপ্রচ্যের একটি বৃহত্তম বইমেলা হিসেবে বিবেচিত। যেখানে ১০ দিনে ১০০০ প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করেছেন।

২০২১ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববির নিরাপত্তার দায়িত্বে নারী সদস্য মোতায়েন করা হয়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে হারামাইন পরিচালনা পরিষদে দশজন নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়।

কর্মক্ষেত্রে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ নারী করতে চায় দেশটি। এসব ছাড়াও সম্প্রতি প্রথম নারী রেস্তোরাঁ মালিক, প্রথম নারী পশু চিকিৎসক, প্রথম নারী ট্যুর গাইড পেয়েছে সৌদি আরব।

ad

পাঠকের মতামত