26229

হংকংয়ের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ‘সেফ হেভেন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের নিপীড়নের অভিযোগের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত হংকংয়ের নাগরিকদের জন্য অস্থায়ী নিরাপদ আশ্রয় বা সেফ হেভেন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসার ফলে দেশেটিতে হংকংয়ের নাগরিকদের বসবাসের মেয়াদ বাড়ার সুযোগ তৈরি হলো। রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্বাক্ষরিত এক মেমোতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে হংকংয়ের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাদের ১৮ মাস পর্যন্ত নির্বিঘ্নে অবস্থানের সুযোগ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই মেমোতে বাধ্যতামূলক পররাষ্ট্র নীতির কথাও উল্লেখ আছে।

ads

জো বাইডেন বলেন, গত বছরজুড়ে চীন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের উপর আঘাত হেনেছে, সেখানকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে খাটো করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ চালিয়েছে চীন। হংকংয়ের ওপর সমর্থন অব্যাহত রাখার কথাও বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে হংকংয়ের কতজন নাগরিক এই সুবিধার আওতায় আসবেন তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত হংকংয়ের নাগরিকদের বেশিরভাগই এই সেফ হেভেন পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে কিছু আইনি শর্ত অনুসরণ করতে হবে।

ads

ব্রিটিশদের অধীনে থাকা হংকংয়ের ১৯৯৭ সালের পর নিয়ন্ত্রণ নেয় বেইজিং। এরপর থেকে চীন ও হংকং এক দেশ, দুই নীতিতে পরিচালিত হয়ে আসছিল। হংকংয়ের প্রশাসনিক কাঠামো আলাদাভাবেই গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সম্প্রতি চীন আধিপত্য খাটাতে থাকে এই অঞ্চলের ওপর। নতুন করে জাতীয় নিরাপত্তা আইন করে এক ধরনের নিপীড়ন শুরু হয় এমন অভিযোগ হংকংয়ের নাগরিকদের। এরপর থেকেই হংকংয়ের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র হংকং ইস্যুতে চীনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের চরম বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও চীন এসবের তোয়াক্কা করে না।

ad

পাঠকের মতামত