26105

‘চিকিৎসায় অপ্রতুলতা কাটিয়ে উঠতে সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করছে’

ডেস্ক নিউজ: চিকিৎসা ক্ষেত্রের অপ্রতুলতা কাটিয়ে উঠতে সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশেই করোনা অতিমারির কারণে হিমশিম অবস্থা চলছে।

ads

কারণ চিকিৎসার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, তার একটি স্বাভাবিক ব্যবস্থা থাকে। আর এ অতিমারিতে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেই রকম অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকা সম্ভব না।

এত বড় ব্যবস্থার জন্য কোনো দেশেরই প্রস্তুতি থাকে না, আমাদের দেশেও নয়। কারণ আমাদেরও চিকিৎসা বিভাগে নানা সীমাবদ্ধতা ও অপ্রতুলতা রয়েছে।

ads

আর এ অপ্রতুলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি যারা ধনাঢ্য ব্যক্তি রয়েছেন, তাদের এলাকা ভিত্তিক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত।

বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সরকারি জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলিলিটার ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন লিকুইড প্লান্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ।

শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুসহ সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদপুর সদর হাসপাতালে অক্সিজেনের সর্বোচ্চ সাপোর্ট দেওয়া হবে। এটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া যাবে না। কেননা, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শঙ্কা থেকে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অক্সিজেন দেওয়ারও প্রস্তুতি চলছে। ’

দীপু মনি বলেন, ‘অক্সিজেনের জন্য হয়তো যেই ৫০টি মিটার সদর হাসপাতালে রয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। তাই আগামী চার-পাঁচদিনের মধ্যেই আরও একশ’ মিটার সরবরাহ করা হবে। তার জন্যও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করি, চাঁদপুরবাসীর অক্সিজেন সংকট হবে না।

আরও বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. শাখওয়াল উল্লাহ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুল করিম, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী।

এর আগে গত সোমবার রাতে প্রথমবারের মতো লিকুইড অক্সিজেন আসার পর গত দু’দিন ধরে প্লান্টের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। বুধবার পুরোদমে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হয়েছে এ প্লান্ট থেকে। এর ফলে চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তদের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্রে অক্সিজেনের হাহাকার বন্ধ হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।

ad

পাঠকের মতামত