24296

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

ডেস্ক নিউজ: সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (APA) সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

ads

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির পটভূমি বর্ণনা করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ‘রূপকল্প ২০৪১’ -এর যথাযথ বাস্তবায়নে দৃঢপ্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সচেষ্ট। এ জন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা একান্ত অপরিহার্য বলে সরকার মনে করে। এ প্রেক্ষাপটে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।

প্রধান অতিথি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভিশন, মিশন, কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ এবং কার্যাবলীর আলোকে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭ টি দপ্তর/সংস্থা তাদের নিজস্ব ভিশন, মিশন, কৌশলগত উদ্দেশ্য, কার্যাবলী, বাজেট বরাদ্দ ইত্যাদি বিবেচনা করে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করেছে। প্রতিমন্ত্রী চুক্তিতে উল্লেখিত কার্যক্রমের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দপ্তর/সংস্থাগুলি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কেননা, দপ্তর/সংস্থাগুলির অর্জিত সাফল্যের উপর মন্ত্রণালয়ের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল।

ads

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে নবনিযুক্ত সচিব মো. আবুল মনসুর এবং দপ্তর/সংস্থার পক্ষে দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত যে ১০টি দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (APA) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলো হলো- বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, কপিরাইট অফিস, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। ঢাকার বাহিরে অবস্থিত ০৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ অনলাইনে সংযুক্ত হন।

এ বছর এপিএ’র কাঠামোর কিছু উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। যেমন- সুশাসন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমসমূহকে (জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার) সমন্বিতভাবে এপিএ’র অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত