23989

বাংলাদেশসহ ৩০ দেশে সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টিকা বিতরণের আন্তর্জাতিক জোট কোভ্যাক্স-এর আওতায় বাংলাদেশসহ ৩০টির বেশি দেশে সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চলতি মাসেই এসব টিকা বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যে সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে পাঠাবে, তার মধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ ডোজ দেওয়া হবে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা যাবে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে। ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ এশিয়া এবং ১ কোটি ডোজ পাবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ।

ads

স্থানীয় সময় সোমবার (২১ জুন) হোয়াইট হাউজ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানা গেছে, এশিয়ার জন্য এক কোটি ৬০ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়ার তালিকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, লাওস, পাপুয়া নিউ গিনি, তাইওয়ান, কম্বোডিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে।

অন্যদিকে আঞ্চলিক অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিতরণ করা হবে আরও এক কোটি ৪০ লাখ ভ্যাকসিন। এই অংশ থেকে কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, ইরাক, ইউক্রেন, ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে টিকা যাবে।

ads

এই সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে থাকবে ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও ওই তালিকায় যুক্ত করা হবে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, বিশ্বকে দেওয়ার মত প্রচুর টিকা আমাদের হাতে আছে, কিন্তু সেই টিকা পাঠানোর কাজটি বিরাট একটি চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, কেবল টিকা পাঠিয়ে দিলেই হবে না, এর ব্যবহারবিধি ও সতর্কতামূলক বিষয়গুলো জানাতে হবে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যথাযথভাবে সংরক্ষণের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। কখনও কখনও ভাষার পার্থক্যও একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে তাদের ৩১ কোটি ৮১ লাখ নাগরিককে টিকা দিয়ে ফেলায় হোয়াইট হাউস এখন তাদের হাতে থাকা বাড়তি টিকা অন্য দেশকে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায়, যুক্তরাষ্ট্র তখন কেবল বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিনই মজুদ করেনি, কাঁচামাল ও সরঞ্জামেরও বড় মজুদ গড়েছে। িসেই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ ছিলো, তাদের হাতে থাকা অব্যবহৃত টিকা যেন তারা সেসব দেশকে দেয়, যারা এখনও সেভাবে টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে যাদের জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োজন, সেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত ৮ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ad

পাঠকের মতামত